নিউজ ডেস্ক: উপহার হিসেবে পাঠানো ভারতের ২০ লাখ ডোজ টিকা গতকাল বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই ভারত থেকে কেনা আরো ৫০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে। বেক্সিমকোর মাধ্যমে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ওই টিকা কিনেছে সরকার। ভারত ছাড়াও রাশিয়া, চীনসহ একাধিক রাষ্ট্রের টিকা পাওয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, টিকা বিষয়ক বৈশ্বিক অ্যালায়েন্স কোভ্যাক্সের মাধ্যমেও টিকা আসছে। উপহারের টিকা দেশে আসায় এখন অপেক্ষা তা প্রয়োগের। গতকাল সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে সিরামের তৈরি কোভিশিল্ড-এর ২০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় আসে। বিমানবন্দর থেকে তা নিয়ে রাখা হয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের হিমাগারে। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উপহারের ভ্যাকসিন ভারতের তরফে হস্তান্তর করেন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উপহার গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। উপহার গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, টিকা পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তাই এ নিয়ে যাতে দেশবাসী কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয় সেই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল একাধিক অনুষ্ঠানে টিকা নিয়ে গুজব আর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা ছাড়াও টিকাপ্রাপ্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন আমরা খুব ভালোভাবে দেবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক আমাদের এ বিষয়ে গাইড করছেন। আপনারা কোনো ধরনের গুজব ও ষড়যন্ত্রে কান দেবেন না। টিকা পাওয়া দরকার এমন একজন লোকও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম থেকে বাদ পড়বে না। তবে টিকা নিয়ে কি ধরনের গুজব ছড়িয়েছে বা ছড়াচ্ছে, সরকার গুজব ঠেকাতে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে? তা মন্ত্রী খোলাসা করেননি। উপহার হিসেবে পাওয়া ভারতীয় টিকা ঢাকাগামী বিমানে ওঠা থেকে শুরু করে পৌঁছানো, হস্তান্তর এবং ফ্রিজিং বা স্টোরেজ হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে ব্যাপক আগ্রহ ছিল মানুষের।