বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

চাকুরিজিবিদের অবসরে অপরাধ করলেই পেনশন বাতিল

Reporter Name
Update : মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১, ৭:০৭ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক: অবসর গ্রহণের পর কোনো সরকারি কর্মচারী গুরুতর অপরাধ করলে শাস্তি হিসেবে তার অবসর সুবিধা (পেনশন) সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহারের বিধান বাতিল করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
 
এদিন বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে এ বিধান বাতিলের প্রস্তাব আনা হলেও মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন দেয়নি। একই সঙ্গে বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আইনের ৫১ (৪) ধারায় বলা হয়েছে- ‘অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে, কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, তাহার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে।’ এই ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ক্যাবিনেট সেটা অনুমোদন দেয়নি আগের বিধানটিই বহাল রেখেছে।
 
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব ছিল যে অবসর গ্রহণ করবে তার যাতে পেনশন থেকে কোনো টাকা কাটা না হয়। মন্ত্রিসভা এটাও অনুমোদন দেয়নি। আগে যেটা ছিল সেটাই রেখে দিয়েছে।’
 
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আরেকটি সংশোধন আনা হয়েছিল, আইনে আছে- পিআরএলে যাওয়া ব্যক্তিদের অন্য কোথাও চাকরি করা কিংবা বিদেশে যাওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। প্রস্তাব আনা হয়েছিল এক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন লাগবে। এটাও ক্যাবিনেট অনুমোদন দেয়নি। আগে যেটা ছিল সেটাই বহাল থাকবে।’
 
তবে আগের আইনে কিছু করণিক ভুল ছিল সংশোধিত আইনে সেগুলো ঠিক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 
সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল প্যাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিনেন্স, ২০২১, এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বার কাউন্সিল আইনে বার কাউন্সিল নির্বাচন ৩১ মের মধ্যে হতে হবে। তিন বছরের জন্য তাদের কমিটি হবে এবং সেই কমিটি তিন বছরের মধ্যে ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন দেবে। কিন্তু মহামারিতে বা দুর্যোগ ইস্যু হলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন না হলে কি করণীয় তা আইনে ছিল না। এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের জন্য সরকার অ্যাডহক কমিটি করে দিতে পারবে এবং ১৫ সদস্যের এ কমিটি ম্যাক্সিমাম এক বছর থাকতে পারবে এবং তারা এক বছরের মধ্যে নির্বাচন দেবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host