পি কে অলোক,ফকিরহাট: জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-০১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি বলেছেন, আমরা শিক্ষাকে সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কারণ এ জাতীকে শতভাগ শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নতি সাধন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে শিক্ষার হার ছিল ৪৫%, আর শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে তা বেড়ে ৬৮% দাড়িয়েছে। তিনি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ফকিরহাটের শুভদিয়ায় অবস্থিত শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারী কলেজ মাঠে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় প্রবর্তিত নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের ভুমিকা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা জাতীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে রাজনীতি করি। উনি ১১বছর ৪শত ৭২দিন জেলে ছিলেন। কাদের জন্য? এই গ্রাম বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবার জন্য। তিনি চেয়েছিলেন একটি সোনার বাংলা বির্নিমান করতে, আমরাও তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কলেজ প্রতিষ্টাতা ও ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ এর সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
বাংলাদেশ বেতার ঢাকার উপস্থাপক সজীব দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার কারিকুলামের উপর আলোচনা করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আহসান হাবিব, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল খুলনার পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনার রশিদ, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ^াস শাহীন আহম্মদ, খুলনা অঞ্চল খুলনার এইচএসটিটিআই এর পরিচালক ড. মোঃ আতিকুল ইসলাম পাঠান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ খালিদ হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল খুলনার উপ-পরিচালক খন্দকার রুহুল আমীন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম কামাল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কলেজ অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস। এর আগে প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দরা বেতাগার কুমারখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর নবনির্মিত ভবন, শুভদিয়া কে,বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারী কলেজের প্রতিষ্টাতা দ্বাতাদের নামের তালিকা ফলক, রুপা চৌধুরী লাইব্রেরী ও রাজিয়া নাসের একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্ভোধন করেন। এসময় ফকিরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন, রামপাল উপজেলা গৌরম্ভা, বটিয়াঘাটার উপজেলার ভান্ডারকোট ইউনিয়ন সহ ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ১৩শত ৭৪জন শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সামাজের নেতৃবৃন্দ ও সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এক সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে শতশত শিক্ষক শিক্ষিকার উপস্থিতিতে কলেজ চত্তর যেন মিলন-মেলায় পরিনত হয়।