মোঃ গোলাপ মিয়া আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) বিপিএম (বার) ড.বেনজির আহমেদ বলেছেন, পুলিশের এই জাদুঘরটি যে কেউ দেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দিলে এই মিউজিয়ামে অনেক মনি মুক্তা খুঁজে পাবেন। বুধবার (২২ জুন) দুপুরে দেশের প্রথম পুলিশ জাদুঘর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি এমন একটি পুলিশ জাদুঘর উদ্যোগের জন্য লালমনিরহাট পুলিশকে অভিনন্দন জানান।
আইজিপি ড.বেনজির আহমেদ আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার্ত মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। এক সময় এলাকায় মঙ্গা ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এই এলাকায় মানুষের মঙ্গা দূর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অনেক খরস্রোতা নদীর উপরে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে একসময় ইতিহাসে জিওগ্রাফিতে স্থান পাবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ৫০ বছরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি পতাকা পেয়েছি,দেশ পেয়েছি মানচিত্র পেয়েছি, স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। দেশ স্বাধীনতার লক্ষ্যে ক্ষুধামুক্ত আত্মমর্যাদাশীল দেশ গঠন করেছেন।বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ যাদুঘর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার পুরাতন ভবন জাদুঘর হিসেবে নির্মিত করা হয়েছে। এখানে বৃটিশ আমল থেকে পুলিশের ক্রমবির্বতন,মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় সংযোজিত করা হয়েছে। ৭টি গ্যালারিতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। উদ্বোধন শেষে জাদুঘরে রাখা পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।লালমনিরহাট পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানা (বিপিএম, পিপিএম) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূইয়া, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, রংপুর মেট্রোপলিন পুলিশের কমিশনার আব্দুল আলিম মাহমুদসহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী,রংপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। পুলিশ জাদুঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।জানা গেছে পুলিশ জাদুঘরটিতে পুলিশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ সংগ্রহশালায় ব্রিটিশ পুলিশ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ পর্যন্ত তাদের পোশাক, যুদ্ধ সরঞ্জাম, অস্ত্র, পুলিশের পদবী, রণকৌশল সম্পর্কে ধারণা পাবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়াও পাশের একটি ভবনে শিশু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে আগত দর্শনার্থী ও তাদের সন্তানরা আনন্দ ও বিনোদন গ্রহণ করবেন। চলতি বছরের অক্টোবরে এ জাদুঘর ও শিশু কর্নারটি সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।