রকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ গত বছরের করোনা বৃদ্ধিতে দফায় দফায় লকডাইনে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।অনলাইন ক্লাসের নামে ছোট বড় শিশুরা মোবাইল আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে।বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেম পাবজি, ফিরিফায়ার, ক্যান্ডিক্রাশসহ নানা গেমে কমলমতি বাচ্চারা আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে।এতে অভিভাকরা চিন্তায় পড়ে যায়।
পরে করোনার প্রভাব কুমে আসলে সরকার লকডাইন তুলে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়।ফলে কোমলমতি বাচ্চারা স্কুল মুখি হয়।অনলাইন গেমের আসক্তি হতে বেশিরভাগ ছোট বড় শিশুরা অবসর সময়ে খেলার মাঠে চলে যায়।এতে অভিভাকরা চিন্তা মুক্ত হলেও মোবাইলের প্রতি বাচ্চাদের একটু আসক্তি থেকেই যায়।
লালমনিরহাট জেলা পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত।এখানে প্রায় পনের লক্ষ মানুষের বসবাস।বিনোদনের ব্যবস্থা কম থাকায় লালমনিরহাটের যে কোন মেলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,নাটক থিয়েটারে মানুষের আগ্রহ বেশি।
গত বুধবার ১২ জানুয়ারি পুনাকের আয়োজনে হোসেন শহীদ শহরাওয়ার্দী রেলওয়ে খেলার মাঠে মাস ব্যাপি শুরু হয়ে পুনাক শিল্প পন্য মেলা।এতে লালমনিরহাটে ছোট বড় বাচ্চারা মোবাইল আসক্তি ছেড়ে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরছে ও অবিভাকদের সাথে সুন্দর সময় কাটাচ্ছে।কিন্তু ১৩ জানুয়ারি ওমিক্রনের প্রভাব বিস্তার লাভ করায় সরকার কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।এ জন্য প্রিন্স ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট মেলাতে আসা অবিভাক ও চোট বড় বাচ্চাদের গেটে প্রবেশ করানোর জন্য মাস্ক বিতরণ করছে।ফলে ওমিক্রন থেকে রেহাই পাচ্ছে ছোট বড় শিশুরা।সেই সাথে তারা আনন্দও করতে পারছে।
মেলাতে আসা ১৩ বছর বয়সী রাফি বলেন,এই মেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই আমরা মোবাইলে আসক্তিতে পড়িছিলাম।যদিও ওমিক্রন এর প্রভাব আছে।আমরা সবাই মাস্ক পড়লে বাকী বিনোদনও নিতে পারছি আবার ওমিক্রন থেকেও রেহাই পাব।
মেলাতে বাচ্চাসহ বেড়াতে আসা আলম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন,অনেক দিন পর স্ত্রী সন্তান নিয়ে একটু বেড়িয়েছি।অনেক ভাল লাগছে।যদিও ওমিক্রনের প্রভাব আছে তাই আমরা মেলা কর্তৃপক্ষের দেয়া মাস্ক পরছি।একি সাথে আমরা বিনোদন নিচ্ছি ও মাস্ক পড়ার কারনে ওমিক্রন থেকে নিজেদেরকে হেফাজত করতে পারছি।এ জন্য তিনি আয়োযককে ধন্যবাদ জানান।
পুনাক সভাপতি ও লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন,আমরা পুনাক শিল্প পন্য মেলার আয়োজন করেছি।যাতে কমলমতি শিশু বাচ্চারা মোবালই আসক্তি থেকে বের হতে পারে।আর যেহেতু আমরা একটি খেলার মাঠ দখল করে মেলা করছি এই জন্য পাশেই মজিদা খাতুন খলেজের সাথে আরেকটি মাঠে খেলা ধুলার যায়গা রাখছি যাতে স্থানীয় খেলোয়াররা মেলার বিনোদন ও খেলাধুলা চালিয়ে যেতে পারে।আর স্বাস্থ্যবীধি ঠিক রেখে মাস্ক পড়া বাধ্যতা মূলক করে মেলাতে প্রবেশ করতে দিচ্ছি।