নিউজ ডেস্ক: আবারও জেঁকে বসেছে শীত। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তির মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই তিনদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকেই দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা সবার। বিশেষ করে নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেলা গড়ালেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পথ ঘাট। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে পথ চলতে হয় হেডলাইট জ্বালিয়ে। একটু অসর্তকতা হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এদিকে শীতের প্রকোপে সারাদেশে ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। সন্ধ্যা নামতেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া দিনের বেলাতেও শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকেই স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। আবার যারা কাজে যাচ্ছেন তাদের সন্ধ্যা নামতেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দূর-দূরান্ত থেকে শিশুদের নিয়ে জেলাগুলোর সদর হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। শীতে রোগীর চাপ বাড়ায় এক শয্যাতেই গাদাগাদি করে নিতে হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। এসব হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা কম থাকলেও প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে দেড় শতাধিক রোগী।
শীতে শ্রমজীবি আর হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ। হাঁড় কাঁপানো শীত আর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন শ্রমজীবিরা। কাজ না থাকায় চরম দুর্ভোগে এসব মানুষ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে আগামী সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত।