মোহাঃ শাহীন উল কাদির, স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলোর ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন হয়েছে। এই উপলক্ষে প্রীতি সমাবেশ, সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১ টায় অতিথিদের সঙ্গে বন্ধুসভা সদস্যদের কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবছর চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক কে সম্মাননা দেওয়া হয়। বন্ধুসভার সভাপতি মোহা: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন প্রথম আলো আশার শুরুতে দেশব্যাপী একটা হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত টানা ২৩ বছর একটা পত্রিকা এক নম্বরে থাকা সহজ নয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় প্রথম আলোর পাঠক হই। সম্মাননাপ্রাপ্ত অতিথি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সংবাদপত্র প্রসঙ্গে বলতে গেলে অবশ্যই প্রথম আলোর নাম বলতে হবে, প্রথম আলো বিশ্বসেরা গণমাধ্যম হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা লড়াই করে চলেছে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ লড়াই অব্যাহত থাকুক। প্রথম আলোর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সম্মাননাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক। তিনি বললেন প্রথম আলো বরাবরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সত্যের পথে চলে। প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ্ আলম সনির সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি, দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক, সরদার আল আমিন, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি, অধ্যক্ষ অধ্যাপক হামিদুল হক মুন্সী ও সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন। হামিদুল হক মুন্সী বলেন প্রথম আলোর আলোতে সমাজের সকল অন্ধকার দূর হয়ে যাক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই প্রত্যাশা। সরদার আলামীন বলেন, প্রথম আলোর বয়স ২৩ আর মাথাভাঙ্গার ৩১ বছর, বয়সের দিক থেকে মাথাভাঙ্গা সিনিয়র তারপরে স্বীকার করতেই হবে যে প্রথম আলো এমন একটি পত্রিকা যা থেকে প্রতিদিন আমরা ভালো কিছু শিখি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বন্ধুসভার সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শাহ্ আলম সনি।