নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারণায় বাধা প্রদান, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন।
বুধবার (৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের মতবিনিমিয় সভায় বেশ কয়েকজন ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অবাধ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সম্ভাব্য সব কিছু করার কথা বলা হয়।
নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুপুরে এ আয়োজনে প্রার্থীরা তাদের মতামত, পরামর্শ ও অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় মাইজপাড়া, সিংগাশোলপুর, কলোড়া, হবোখালীসহ অধিকাংশ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাদের প্রচার প্রচারণায় বিঘ্নসৃষ্টি, ভোটারদের হুমকি প্রদান, মটরসাইকেল বহর নিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ করে নিজেদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তারা অনেকেই নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাতে অনুরোধ জানান। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের অভিযোগ, পরামর্শ লিপিবদ্ধ করা হয়।
পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওয়ালীউল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার অশ্বাস দেন। একইসঙ্গে নির্বাচনী আচারণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর মধ্য দিয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি আইন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপে, আসছে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নড়াইল সদরের ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩১ এবং সাধারণ সদস্য পদে মোট ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানকার মোট ভোটার এক লাখ ৯০ হাজার ২৪৫ জন।