ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা রিপন হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলাল ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে নিহত রিপনের স্ত্রী তানিয়া খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলাল ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য এই হত্যাকান্ড করিয়েছে। দুলাল বিশ্বাস প্রত্যক্ষ মদদে এই হত্যা।
তানিয়া খাতুন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, হত্যার পর হত্যাকারীরা এলাকায় এসে উল্লাস করে বেড়াচ্ছে। আমরা যাতে বিচার না পাই, মামলা যেন তুলে নিই এ কারণে হত্যাকারীরা আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। হত্যার পর তারা উল্লাস করে আমার স্বামীর সমর্থকদের অন্তত ৪০/৫০ টি বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, খুন করার পর খুনিরা বিশ্বাস বিল্ডার্সের মালিক দুলাল বিশ্বাসের ঢাকার অফিসে আশ্রয় নেয়। তার অফিসের সামনে থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকী আসামীদের দুলাল বিশ্বাস আশ্রয় দিয়ে ও টাকা দিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আনে। জামিন করার পর দুলালের অফিসে তারা ভুড়িভোজ ও আনন্দ উল্লাস করে। খুনিরা খুন করার পর যেভাবে উল্লাস করছে তাতে আমি ও আমার পরিবার শংকিত। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানায় এই হত্যার মুলহোতা দুলাল বিশ্বাস, হেলাল বিশ্বাসসহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবস্থা যেন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের নিহতের স্ত্রী তানিয়া খাতুন ছাড়াও, পিতা আবুল কালাম আজাদ, চাচা জাফর বিশ্বাস, খালাতো ভাই নাসির বিশ্বাস, ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর ইসলাম শলক, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন মোল্লা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শিমুল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস, আবাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান উকিল মোল্লা, যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় মাতব্বর মাসুদ বিশ্বাস, মুন্নু বিশ্বাস, সুজন বিশ্বাসসহ পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলো রিপন। পথে মীনগ্রাম মাঠের মধ্যে পৌঁছালে দুলাল ও হেলালের লোকজন তার গতিরোধ করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।