নিউজ ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার দিন শ্রেণিকক্ষে ময়লা পাওয়ায় আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। যিনি স্কুল পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম শুরু করার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে এ বরখাস্তের নির্দেশ দেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজ পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, সব ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং অভিভাবকরা মুখে মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে শয়ে শয়ে মেসেজ এসেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না। আসলে সবদিকেই অনেক মতামত রয়েছে। তার মধ্য থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও বিকল্প চিন্তাও মাথায় আছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায় তাহলে আবার আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাব।’
দীপু মনি বলেন, ‘শুধু সংক্রমণের হার নয় আমাদের অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিকসহ নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব মাথায় নিয়েই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সবার মধ্যেই সাজসাজ রব। শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সবার মধ্যেই উদ্দীপনা বিরাজ করছে।’
সচেতনতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন, তাদের সচেতন থাকতে হবে। স্কুলের কোথাও যেন ময়লা না থাকে, সেটি দেখতে হবে।’
স্কুল ড্রেস নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আপনারা শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের বিষয়ে চাপ দেবেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেকোনো সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেব।’
বেতন নিয়ে অভিভাবকদের চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয়। করোনার এই সময়ে অনেকের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।’
একইসঙ্গে অভিভাবকদের উদ্দেশে দীপু মনি বলেন, ‘আপনারা অন্যান্য খরচ কমিয়ে আপনার সন্তানদের বেতন আগে পরিশোধ করতে পারেন। বেতনের টাকা কিন্তু খুব বেশি নয়।’