মোঃ গোলাপ মিয়া আদিতমারী( লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে চাপারহাট গ্রামের পূর্ব শত্রুতার ও বিবাহ বিচ্ছেদ কে কেন্দ্র করে আহসান হাবিব নামে জজ কোর্টের এক এপিপিকে নিজ বাসায় হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার মামলা পুলিশ ইমিগ্রেশন পিবিআই সংস্থার কাছে মামলার তদন্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন মহামান্য আদালত। এ ঘটনা ঘটিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী নুরু ইসলামের পুএ রাজা মিয়া, মাসুদ, আরিফুল ইসলাম কাজল , একই এলাকার আব্দুল আজিজ গেন্দু পুএ রেজাউল ইসলাম ও মজিবুরের পুত্র তৌহিদুর রহমান তূর্য্য। গত ৮ ই অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে পূর্বের পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে লালমনিরহাট জেলা জজকোর্টের এপিপিকে তখন আহতর আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে মহুর্ষ অবস্থা উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা জন্য প্রেরণ করেন আহত এপিপি আহসান হাবীব এর অবস্থার অবনতি হলে রংপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ঢাকা প্রেরণ করেন সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে হস্তান্তর করে । ঘটনার বিবরণে জানা যায় আসামীগণ স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে । মামলার বাদী এপিপির পিতা বলেন প্রথমে মামলার তদন্ত করেন কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সেখান থেকে জেলা ডিবি পুলিশ মামলা তদন্তে দায়িত্ব দেয় হয় । জেলা ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামী পক্ষে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন । মামলার
তদন্ত প্রতিবেদনটি আদালত দেখতে পারে মামলার বাদীর এক ছেলেকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে পরবর্তীতে আদালত পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআই ইমিগ্রেশন কে তদন্তে দায়িত্ব দেয় আদালত । এদিকে আসামীগণ মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি প্রদান করে আসছে। এই ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন যাহার নং ১০২২ সেই সাথে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী । মামলার এজাহার ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় মামলার বাদীর নাতনী বিয়ের বিচ্ছেদের বিষয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রভাবশালী মামলাবাজ অর্থলোভী রাজা মিয়া গ্যাং বাহিনী ছেলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেন । মামলার বাদী বিষয়টি জেলা আইনজীবী সমিতির হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয় । সমাধানের সময় রাজা মিয়া সহ তার বাহিনীকে না বলে বিষয়টি সমাধান করা হয় । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লালমনিরহাট জজ কোর্টে এপিপি কে নিজ বাসায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে । অভিযোগ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি । স্থানীয় ও সচেতন মহল মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ মামলার দায়িত্ব পাওয়া পিবিআই কাছে । এই ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ইন্সপেক্টর তদন্ত ফরহাদ মন্ডল বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন মামলাটি বর্তমান পিবিআই এর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।