নিউজ ডেস্ক: চিত্রনায়িকা পরীমনি কিংবা কথিত মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা—গত কয়েকদিন ধরে তারাই ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। মডেল-অভিনেত্রী-প্রযোজকরা আটক-গ্রেফতারের পর থেকেই বেশ বেকায়দায় আছে তাদের ‘খদ্দের’ ধনীর ঘরের দুলালরা! শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই অসামাজিক ও অপকর্মে লিপ্ত অন্তত ৩০০ জন ধনীর দুলালের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রয়েছে।
রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদকের আসরের আয়োজন করতো কথিত মডেল পিয়াসা, মৌয়েরা। সেখানে চলতো নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড। পার্টিতে অংশ নেয়া ‘অভিজাত’ শ্রেণীর লোকদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হতো।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে এসে মাদকদ্রব্যাদি সেবন করিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগ রয়েছে। এরপর ব্ল্যাকমেল করে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন এই দুই নারী।
ঢাকার বনানী ১৯/এ সড়কের একটি বাড়ির পাঁচতলাতে থাকেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পাঁচতলার এ ফ্ল্যাটটি নামীদামী মদের বোতলে ঘেরা ও বারের আদলে সাজানো। জানা গেছে এই বাসাতেই নিয়মিত মদের আসর বসাতেন তিনি। চলত পার্টি ও গান-বাজনা। সেখানেও নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিল ধনীর ঘরের দুলালদের।
মডেল-অভিনেত্রীদের অসংখ্য ‘খদ্দেরের; হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ তাদের ফেসবুক আইডি ডিজেবল করে অজ্ঞাত স্থানে ঘাপটি মেরে রয়েছেন। আবার পরী, পিয়াসা কিংবা এমন শ্রেণীভুক্ত মডেল কিংবা উশৃঙ্খল তরুণীদের সঙ্গে বিভিন্ন পার্টিতে যেসব ধনীর দুলালরা ছবি তুলে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন সেগুলোও তারা ডিলিট করে দিচ্ছেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্) কর্ণেল কে এম আজাদ বলেন, পিয়াসা ও পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকেও অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তবে পরী-পিয়াসারা গ্রেফতারের পর ওই ধনীর দুলালরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদেরকে ট্রেস করা কঠিন হয়েছে যাচ্ছে। তারা অল্প সময়ের মধ্যেই একস্থান থেকে অন্যস্থানে অবস্থান পরিবর্তন করছে।