নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম ভাঙিয়ে গড়ে ওঠা নামসর্বস্ব সংগঠনএখন ক্ষমতাসীন দলের কাছে গলার কাঁটা। আওয়ামী লীগ অফিসের সাথেই তাদের সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা যায়। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ তাদের ঠিকানা সম্বলিত ভিজিটিং কার্ড । নামসর্বস্ব ৭২টি ভুঁইফোড় সংগঠনের নামের তালিকা করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এসব সংগঠনের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাবার দায় স্বীকার করে নিয়ে কেন্দ্রীয়নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার এই ১৩বছরে লীগ বা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম দিয়ে গজিয়ে উঠেছে শ’খানেক তথাকথিত রাজনৈতিক,সামাজিক এবং পেশাজীবী সংগঠন।
নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের সবারই ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বা সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়েরঠিকানায়।
এসব সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরঅনেককে। তাই, এখন প্রশ্ন উঠছে তথাকথিত সংগঠনের প্রভাব বিস্তারের দায় কি এড়াতে পারেদল?
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদকএস এম কামাল হোসেন বললেন, দায় এড়ানোর উপায় নেই। এনিয়ে এরিমধ্যেই প্রয়োজনীয় নির্দেশনাদেয়া হয়েছে দলের সবস্তরের নেতাদের।
তারা জানান, সমালোচনা শুরু হওয়ায় এবার কঠোর ভূমিকায় আওয়ামী লীগ। নামসর্বস্বএমন ৭২টি সংগঠনের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যাদের বিরুদ্ধেব্যবস্থা নিতে আহবান জানানো হয়েছে।
তাছাড়া, দলের পরবর্তী কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এটি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।