বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে লাশ গুমের পুরো রহস্যের জট উন্মোচনে সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মূল ভূমিকা রাখতে পারেন। ৪০ বছর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের সময় জিয়াউর রহমানের পাশের কক্ষে ছিলেন বি চৌধুরী। এমনকি ঢাকায় অনুষ্ঠিত জানাজায়ও অংশ নেননি, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর চন্দ্রিমা উদ্যানের কবর জিয়ারতেও যাননি তিনি। এমনটাই বলছেন সে সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীরা।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অবস্থানকালীন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সবশেষ সাক্ষাত করেন তৎকালীন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তার দাবি, জিয়াউর রহমানের পাশের কক্ষে ছিলেন তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরী। এমনকি বি চৌধুরীর কক্ষে বিপথগামী সেনা সদস্যরা গুলি করে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেই গুলি ছিল কক্ষের ভেতর থেকে।
তিনি বলেন, জিয়ার লাশ ঢাকায় নিয়ে যাবার পর বি চৌধুরী জানাজা পড়েন নি। লাশও দেখতে যান নি। যেহেতু জিয়ার লাশ সেখানে ছিল না, তাই কাউকে এই লাশ দেখতেও দেওয়া হয়নি। ওই বাক্সের ভেতর কী ছিল, কেউ জানে না।
তবে বি চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাবেক এই বিএনপি নেতা এবং চাকসুর জি এস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে তিনি তো ভীতও হয়েই থাকার কথা। প্রতিরোধ করার কোনো সুযোগও উনার ছিল না।
সে সময়ের সংশ্লিষ্টদের মতে, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে রাঙ্গুনিয়া যাওয়ার আগেই জিয়াউর রহমানের মরদেহবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পরে হালদা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন পর রাঙ্গুনিয়ার একটি পাহাড়ি অঞ্চল থেকে মাটি চাপা দেওয়া সামরিক পোশাক পরিহিত কয়েকজনের লাশ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি জিয়াউর রহমানের বলে দাবি করা হয়।সূত্র: সময় টিভি