বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্দান্ত কিলিয়ান এমবাপ্পে হারেননি। হেরেছে ফ্রান্স। তিনি নিজেকে উজার করে দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরও ভাগ্য তাদের পক্ষে ছিল না। হেরে যায় ফ্রান্স। কাপ ওঠে এ শতাব্দীর কিংবদন্তি লিওনেল মেসির হাতে। ম্যাচ হেরে এমবাপ্পে কাঁদেননি। জিতে কেঁদেছে আর্জেন্টিনা। ঠিক এমন এক পরিবেশে মন খারাপ করে মাঠের মধ্যে বসে আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাকে শান্তনা দিতে মাঠে ছুটে যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন।তিনি এমবাপ্পেকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। তার বাহু ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তিনি এমবাপ্পেকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। উভয় ক্ষেত্রেই তার কাছ থেকে সরে যান এমবাপ্পে। এ দৃশ্য নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ফ্রান্সের পরাজয়ের এই মঞ্চকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা হয়ে থাকতে পারে। এ নিয়ে বৃটিশ পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে রোববার হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে। এর আগে এই রেকর্ড ছিল স্যার জিওফ হার্স্টের দখলে। তিনি ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন। এবার তাকে ছুয়ে ফেললেন এমবাপ্পে। তাই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জিওফ হার্স্ট। বৃটিশ পত্রিকা লিখেছে, নিজের বীরত্ব উপস্থাপনের পর এমবাপ্পে বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। পরাজয়ের পর প্রথম দফায় তাকে মাঠের মধ্যে শান্তনা দিতে যান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে শান্তনা দেন। এমবাপ্পের হাত জড়িয়ে ধরেন। তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন এই রাজনীতিক। কিন্তু এমবাপ্পে ম্যাক্রন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় এমবাপ্পেকে শান্তনা দিতে দেখা যায় আর্জেন্টিনার বাজপাখি খ্যাতি পাওয়া এমি মার্টিনেজকেও।
ম্যাচপরবর্তী প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে মেডেল এবং গোল্ডেন বুট উপহার দেয়া হয় এমবাপ্পেকে। এ সময় আবারও তাকে বাহুতে আবদ্ধ করে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন। কিন্তু এ সময়ও তিনি প্রেসিডেন্টের কব্জা থেকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে আরএমসি স্পোর্ট’কে ম্যাক্রন বলেছেন, এমবাপ্পে এবং পুরো টিম যা করেছে তা ব্যতিক্রমী। এমবাপ্পে একজন মহান খেলোয়াড়। তিনি এখনও যুবক। আমি তাকে বলেছি সবেমাত্র তার বয়স ২৩ বছর। বিশ্বকাপের শীর্ষ স্কোরারদের মধ্যে তিনি আছেন। তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তার সামনে ফাইনাল আরও আসবে। তার মতোই আমি বেদনাহত। তাকে আরও বলেছি, তুমি আমাদেরকে গর্বিত করেছ। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা ফুটবল ম্যাচে হেরে গিয়েছি। আমরা জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। খেলায় এমনই হয়।
ম্যাক্রন আরও বলেন, তিনি কোচ দিদিয়ের দেচ্যাম্পসকে ফরাসি টিমের কোচ হিসেবে অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন। ৫৪ বছর বয়সী এই কোচের চুক্তি বিশ্বকাপের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই তাকে পদে থাকার আহ্বান জানিয়েছি।