এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও ফের করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করেছে জাতীয় কারিগরি কমিটি। কমিটি মত দিয়ে বলেছে, দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ সহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। যা উদ্বেগজনক।
রোববার জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭ তম সভায় এই সুপারিশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নতুন সদস্যদের স্বাগত জানান সভাপতি এবং বিদায়ী সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। আজ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের উর্ধ্বগতি এবং বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ভবিষ্যতে বৃদ্ধি রোধে করণীয় বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি মতামত জানতে চেয়েছেন বলে সভাকে অবহিত করেন। সভায় কমিটি গৃহীত সুপারিশগুলো হচ্ছে-
(১) বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ সহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড১৯ সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। যা উদ্বেগজনক। জাতীয় কারিগরি কমিটি আশঙ্কা ব্যক্ত করে এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হতে পারে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকল ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করা হয়। সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির ও সুপারিশ করা হয়।
(২) যে সকল দেশে সংক্রমণের হার বেশি সে সকল দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রদান করা থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা এব সকল বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদারকরণের পরামর্শ দেয়া হয়।
(৩) আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বাজার ও কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত এর সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তারাবীর নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
(৪) কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতাল সমূহকে সতর্ক করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতাল সমূহের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সভা আয়োজন করে এই বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
(৫) কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করে সকলকে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থানে থাকার সুপারিশ করা হয়।
(৬) সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।