মোঃ শাহানুর আলম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের সদরের গান্না ইউনিয়নের এক গ্রামে ৬ষ্ট শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের হুরমতের ছেলে করিমের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে ঐ শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই লম্পট এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী শিশুটির মায়ের।
জানাগেছে, সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের এক দিনমুজুরের মেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শিশুটির বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী কালু মিয়ার চায়ের দোকানের হেলপার। মানসিক প্রতিবন্ধী এই দিনমজুরের স্ত্রী ঝিনাইদহের একটি বে-সরকারী হাসপালাতে পরিছন্নতা কর্মী হিসাবে কাজ করে। গত ১৮ আগস্ট রাতে ক্লিনিকে ডিউটি পড়ে। বাড়িতে ছিল ২ ছেলে মেয়ে ও প্রতিবন্ধী স্বামী। এই সুযোগে ঘরে উঠে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালাই লম্পট করিম। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, সন্ধ্যাবেলা করিম তার বাবা ও ভাইয়ের জন্য মিষ্টি খেতে দেয় । সেই মিষ্টি ও রাতের খাবার খেয়ে বে-ঘোরে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে করিম ঘরে ঢুকে ওই মেয়ের, এই সময় সে টের পেয়ে বাবাকে অনেক ডাকা-ডাকি করেও জাগাতে পারছিল না। পরে জোরে কান্নাকাটি শুরু করলে বাবা ও পাড়ার অন্য লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় করিম। শিশুটি জানায়, রাতে এই ঘটনার পরে ভয়ে তার বাবা-ভাইকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি দোকানে রাত কাটিয়েছে। ঐ শিশুটির মা জানায়, এর আগেও লম্পট করিম বহুবার আমার মেয়ের পিছনে লেগেছে। যৌন হেনস্তা করার চেষ্টা করেছে। আমি তাকে কয়েকবার এই বিষয়ে সাবধানও করেছি। তার পরেও বুধবার আমি বাড়িতে না থাকায় আবার চেষ্টা চালিয়েছে। আমার স্বামী কাজ করতে পারেনা। আমি উপার্জন করে সংসার চালায়। মেয়েকে বাড়িতে রেখে কাজেও যেতে পারছি না। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চায়। এই বিষয়ে বেতাই-চন্ডিপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সিরাজুল করিম বলেন, আমি ছুটিতে আছি এই বিষয়ে জানিনা বিষয়টি নিয়ে এএসআই খোরশেদকে ফোন দিতে বলেন। এএসআই খোরশেদ বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে আগে শুনিনি। এখনই খোঁজ নিতে যাচ্ছি। শুক্রবার সাংবাদিকরা খোঁজ পেয়ে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গেলে মেয়ের মা-বাবা ও ঘটনার শিকার শিশুটি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগের বর্ণনা দেন। এরপরেও স্থানীয় কিছু মাতব্বর এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সংগ্রহের সময় গ্রামের লোকজন অভিযোগ করেছেন এই গ্রামে ১ বছর আগে হিন্দু পাড়ার আরেক প্রতিবন্ধী’র স্ত্রীকে ধর্ষণ করে এক কবিরাজ। সেই ঘটনায় মামলা করতে না দিয়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে ভুক্তভোগী পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে বাকি টাকা খেয়েছে এই মাতব্বরা। গ্রামবাসী এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।