সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় নিহত আরও ছয় বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জন বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেলো। বাসটিতে ২২ জন ওমরাহ যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনই বাংলাদেশি।
নতুন যে ৬ জনের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন: কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজারের মহেশখালীর শেফায়েত উল্লাহ, যশোর কোতোয়ালি থানার নাজমুল হাসান, যশোর সদরের রনি, কক্সবাজারের মোঃ হোসেন ও চাঁদপুরের নারায়ণপুরের তুষার মজুমদার।
দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১৭ জন বাংলাদেশি। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা হলেন: চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডের সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, ভোলার বুরহান উদ্দিনের আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরার মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ।
চিকিৎসারতদের তালিকায় আরও রয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগরের ইয়ার হোসাইন, পিতা: আব্দুল মালেক, একই এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, মাগুরার মোহাম্মদপুরের মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, যশোর সদরের মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন ও মোঃ সেলিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন হোসাইন আলী, কুদ্দুস, আব্দুল হাই ও রানা।
গালফ নিউজের প্রতিবেদন মতে, সৌদির আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। হতাহতদের নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, বাসটিতে থাকা ৪৭ যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনই বাংলাদেশি।
সহায়তার জন্য সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে হতাহতদের পরিবারকে +966553026814 ও +966538643532 নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।