সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর তরিকুল ইসলামকে পুলিশ জ্ঞিাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পলাতক রয়েছে নিহতের স্বামী ইমরান হোসেন।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত গৃহবধুর নাম উর্মি খাতুন (১৮)। তিনি তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভার্শা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের বাবা নজরুল ইসলামসহ তার স্বজনরা জানান, সাত মাস আগে পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেনের (২২) সাথে বিয়ে হয় উর্মির। বিয়ের সময় তারা যৌতুক হিসাবে জামাই ইমরানকে একটি মোটরসাইকেল দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ইমরান কোন কাজ না করায় সংসারে শুরু হয় অশান্তি।
এরমধ্যে বেকার বসে থাকায় বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী তাকে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। আর কাজ না করে স্বামী স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতো। এক পর্যায়ে যৌতুক নেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রয় করার প্রস্তাব দিলে তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এরই জেরে সোমবার (২৫ অক্টোবর) ইমরান ও তার পরিবারের লোকজন কয়েকবার উর্মিকে মারপিট ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রাতের কোন এক সময় নির্যাতনে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর তরিকুল ইসলামকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া তার স্বামী ইমরান পলাতক রয়েছে। নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাটকেলঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণপদ সমাদ্দার।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।