নিউজ ডেস্ক: বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। কণ্ঠে জয় বাংলা ধ্বনি আর প্রত্যয়ে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন। দাবি, বিচার হোক সব যুদ্ধাপরাধীর।
লাল-সবুজের বাংলা বাঙালির। দীর্ঘ এক দহনকাল পেরিয়ে একাত্তর বিশেষ এক সংখ্যার নাম কেবল নয়, যেন ঠিকানা, যেন চেতনা। মুক্তির স্বাধীনতার।
পঞ্চাশ বছর দূরত্ব নয় কোন যেন এই সেই দিন চূড়ান্ত এক বিজয়ের। ভোরের আলো ফুটেছে আর মানুষের প্রস্তুতি ছিল তার আগে থেকেই। তীর্থস্থান উন্মুক্ত হয়েছিল যেন খুলে গেছে সহস্র বছরের দ্বার।
এসেছিলেন যারা, লাল সবুজের এক টুকরো জমিন হাতে যুদ্ধাপরাধীদের পূর্ণ বিচার চাইলেনও তারা। কেবল উদযাপন নয়, বিজয়ের এ দিন উপলক্ষ হোক আরো অনেক অনেক বিজয়ের।
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে।
এর আগে ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভোর ৬টা ২৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার দেন। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তারা।
রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।