নিউজ ডেস্ক: বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট দুর্ঘটনার শিকার হলে স্বল্প সময়ে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধারকাজ ও জরুরি সেবা নিশ্চিতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়ে গেল মহড়া।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে এই মহড়ার আয়োজন করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এ সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে বিমান। ডান ইঞ্জিন থেকে লেগেছে আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলছে যাত্রীবাহী বিমানটি। এটি সত্যিকারের কোনো দুর্ঘটনা নয়, অনাকাঙ্ক্ষিত এমন ঘটনা ঘটে গেলে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে, তারই অনুশীলন হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এ মহড়ায় অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দল, চিকিৎসকদের একটি দল ও উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার।
অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধারকাজ ও কীভাবে জরুরি সেবা নিশ্চিত করা হবে চলে তারই প্রস্তুতি। এই মহড়ার আয়োজন করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এই মহড়া আমাদের কাজের গতিকে বাড়িয়ে দিল। যে কোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমরা কাজ করতে পারব।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বলেন, এ মহড়া সবার জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে এবং সত্যিকার দুর্ঘটনার সময় যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারবে।
যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি দুই বছর পর পর শাহজালাল বিমানবন্দরে এমন মহড়ার আয়োজন করা হয়।