রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক রং মিস্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, হাফিজুর রহমান ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি করে স্থানীয় কুমড়িরহাট বাইতুল মামুর জামে মসজিদের চুনকাম করার কাজ নেন। কাজ সম্পন্ন হলে প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল। অবশিষ্ট ১৫ হাজার টাকা বাকি রাখেন। কিন্তু পরে সেই টাকা দিতে গড়িমাসি শুরু করে। এক পর্যায়ে ফোন রিসিভ করাও বন্ধ করে দেন তিনি।
এমন কি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে টাকা চান হাফিজুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ শে এপ্রিল কৌশলে হাফিজুরকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেন চেয়ারম্যান আলাল। পরে তার পালিত সন্ত্রাসী স্বপন মিয়া, ছমির উদ্দিন, হযরত আলীসহ কয়েকজন হাফিজুরকে সচিবের কক্ষে নিয়ে বেধরক মারপিট করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এসময় হাফিজুরের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়।
এতে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে ভর্তি হন আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হাফিজুর রমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘চেয়ারম্যান বলে কাজের উচিৎ মজুরির টাকা চাওয়া যাবে না, এটা ভাবিনি। আমাকে লোকজন দিয়ে পিটাইছে। আমরা গরীব বলে কি দেশে কোন বিচার নাই’? তিনি এর ন্যায্য বিচার দাবি করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কমলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘হাফিজুর আমার মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে সম্মানহানির হুমকি দিয়েছিল। সে আমার কাছে চুক্তি অনুযায়ী কোন টাকা পাবে না। তবে বাড়তি পাঁচ হাজার টাকা তার দাবি রয়েছে। আমি কিছু বলিনি’।
তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন- ‘হাফিজুর তার ভাইকে নিয়ে এসে লোকজনের সামনে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা মারে। এতে উপস্থিত কয়েকজন তাকে গালাগালি করেছে। এর বাইরে কিছু হয়নি’।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার অফিসা ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম লিখিত অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।