সংবাদ সংস্থা, মুম্বই: ছেলেটি স্বভাবে লাজুক। মুখ ফুটে ভালবাসার কথা বলতে পারে না। কিন্তু গভীর ভাবে ভালবাসতে পারে। এমন ছেলের ভবিতব্য কী? ভাল-মন্দ থেকে আগলে রেখে সংসার করতে পারবে ভালবাসার মানুষটাকে নিয়ে? নাকি প্রতি মুহূর্তে ভালবাসার কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত হবে? প্রতীম ডি গুপ্তার ‘টুথপরী’র মোদ্দা কথা কিন্তু এটাই। ভালবাসা যে অপ্রাকৃত শক্তিকেও বশ করতে পারে, সেটাও দেখিয়েছেন তিনি। নইলে এক রক্তচোষা কী করে এক মানুষের প্রেমে পড়তে পারে?
প্রথম হিন্দি দুনিয়ায় পা রেখেছেন প্রতীম। তাঁর হিন্দি ওয়েব সিরিজ ‘টুথ পরী’ দিয়ে। প্রথম সিরিজেই তিনি ভিন্ন পথে হেঁটেছেন। সিরিজে নানা বিষয় সহজে জায়গা করে নেয়। কিন্তু এমন অপ্রাকৃত প্রেম এখনও পর্যন্ত কেউ তুলে ধরেননি। তেমনই এক গল্পকে জীবন্ত হয়ে উঠেছে রুমি আর রয়কে ঘিরে। রুমি ভ্যাম্পায়ার। রয় দাঁতের চিকিৎসক। আচমকাই এক শিকারের রক্ত খেতে গিয়ে শ্বদন্ত হারিয়ে ফেলে সে। বাধ্য হয়ে দন্ত চিকিৎসকের কাছে আসতে হয় তাকে। এই আনাগোনাই যে প্রেমে পরিণত হবে, কে জানত? জানার পরে কী হল? প্রেম পরিণতি পেল? জানতে গেলে নেটফ্লিক্সে ২০ এপ্রিল চোখ রাখতে হবে।
এ তো গেল সিরিজের কাঠামো। এমন এক গল্পকে জীবন্ত করতে প্রতীমকে সাহায্য করেছেন বলিউড, টলিউডের নামজাদা অভিনেতা তারকারা। তালিকায়, রেবতী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সিকান্দর খের, আদিল হুসেন, তিলোত্তমা সোম, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, স্বরূপা ঘোষ, রজতাভ দত্ত প্রমুখ। মুখ্য ভূমিকায় শান্তনু মাহেশ্বরী, তানিয়া মানিকতলা। প্রতীম কলকাতার। নায়িকার তাই সাম্প্রতিক রসিকতা, ‘‘ভাগ্যিস আমার পদবি মানিকতলা, তাই তো স্যরের সিরিজে জায়গা পেলাম!’’ বাংলার শিল্পীরা তাই তাঁর সিরিজে ছয়লাপ। একই সঙ্গে টুকরো কলকাতাও জায়গা করে নিয়েছে। যেমন, হাওড়ার ফুলের বাজার, অন্ধকার গলিপথ, ময়দান মেট্রো স্টেশন, নোনাপুকুর ট্রাম ডিপো, বাবুঘাট ব্রিজ ইত্যাদি। স়্জয় লীলা ভনশালির ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়’ তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে। শান্তনু সেখানেও নীরব প্রেমিক। এখানেও ঠিক তেমনটাই কিনা, সিরিজ জবাব দেবে। তবে তাঁকে যেন এই লাজুক, ভীরু প্রেমিকের চরিত্রেই বড্ড ভাল মানায়।
এই সিরিজে আরও চমক আছে। রেবতী এই প্রথম কোনও ডনের চরিত্রে। তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রতীমকে। ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয় করে অভিনেত্রী তৃপ্ত। একই ভাবে প্রতীম বিগলিত শাশ্বতকে পেয়ে। কহানি দেখার পর থেকেই পরিচালক পর্দার ‘বব বিশ্বাস’-এর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। সুযোগ মিলতেই মেট্রো স্টেশন আর শাশ্বতকে এক সঙ্গে ফের ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সিরিজের প্রযোজক এন্জেমল সাইন ইন্ডিয়া।