নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশ দখল করে আছে ভিনদেশি টেলিভিশন চ্যানেল। সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় এসব চ্যানেলে। এতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার। তাই এখন থেকে বিদেশি বিজ্ঞাপন ছাড়াই চালাতে হবে ভিনদেশি চ্যানেল।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ অবস্থায় কেবল অপারেটর ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ক্লিন ফিড চালাতে হবে বিদেশি চ্যানেলগুলোকে। শুক্রবার থেকে সেটি কার্যকরের ঘোষণা দিলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে আগামীকাল শুক্রবার (১ অক্টোবর) থেকে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া, অনুমোদনহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা কাল বিটিআরসিকে পাঠানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্লিন ফিড যদি ওই সকল চ্যানেলে দেখানো না হয় তাহলে সেটি ক্যাবল অপারেটর এবং ডিস্ট্রিবিউটর তাদের উপরেই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে। আগামীকাল থেকেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, অনুমোদনহীন অন-লাইন পোর্টালগুলোর ব্যাপারে আদালতের চাওয়া অনুযায়ী বিটিআরসিকে তথ্য পাঠানো হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই বা কালকে সকালের মধ্যে বিটিআরসিকে তালিকা দিব। আমাদের কাছ থেকে যে তালিকা পাবে সে অনুযায়ী অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টালগুলো বন্ধ করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বিবেচনায় সবগুলো একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। সে বিষয়টি আমরা কোর্টকে অবহিত করব। আমরা পর্যায়ক্রমে এসব পোর্টালগুলো বন্ধ করব।
ধীরে ধীরে দেশের সম্প্রচার ব্যবস্থাপনাকে নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা হবে বলে ড. হাছান মাহমুদ।