ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে চীন বাংলাদেশের ‘নিজস্ব সিদ্ধান্ত’ নেয়ার ওপর বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
‘উন্নয়ন, সীমান্ত প্রতিরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যৌথভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি,’ যোগ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একমাত্র চীন কার্যকর ভূমিকা রেখে আসছে।
জিনপিং সরকার শান্তি, আধুনিক জীবন, মানুষের প্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীন বদ্ধপরিকর।
অযথা নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে বিশ্ব ব্যবস্থা চলবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
এ সময় ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক কান্তি বাজপাই বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে আসিয়ানেও বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবার্সনে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকা ব্রিজিং রোল হিসেবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় চীন ও বাংলাদেশ একত্রে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
চীন অ্যান্ড সাউথ এশিয়া সেন্টার সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটিডিজের সেক্রেটারি জেনারেল লু ইয়াংই বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্যাটিজি নিয়ে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের চাপ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অতীতে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের মতো দেশকে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের পথে বৈদেশিক চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক শব্দ বিশ্লেষণ করে বলে দেয়া যায়, তারা কীভাবে একটি উন্নয়নশীল দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করছে। চীনের বিরুদ্ধে জোট গঠন করতে যাচ্ছে তারা।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটিজিক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজের অ্যাসিসট্যান্ট রিসার্চ ফেলো লি হংমেই বলেন, নিজেদের স্বার্থ শেষ হওয়ার পর পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ভারতকে ইন্দো প্যাসিফিক বা ভারত সাগরে নেতৃত্বের ভূমিকায় রাখছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাটিজির কারণে বর্তমানে বে অব বেঙ্গলকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় সাবেক রাষ্ট্রদূত তারেক এ করিম বলেন, যৌথ নদীর পানির ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে বোঝাপড়ার দরকার আছে।