পয়লা বৈশাখ ১৪৩০ ( ১৫ ই এপ্রিল ২০২৩, শনিবার) বাঙালির শুভ নববর্ষের সকালে গাঙ্গুলিবাগান থেকে যাদবপুর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করলো মঙ্গল শোভাযাত্রা গবেষণা ও প্রসার কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো দ্বারা ‘ অধরা বিশ্ব ঐতিহ্য ‘ স্বীকৃতি পাওয়ার পরের বছর থেকেই প্রতি বছর এই আয়োজন করেছেন তারা।
ইতিমধ্যে গত এক মাস ধরে চলেছে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। ওয়ার্কশপ চলেছে শিল্পীদের। বানানো হয়েছে নানা ম্যাসকট – পশ্চিম বঙ্গের স্টেট এনিম্যাল মেছো বেড়াল, তৈরি হয়েছে বাউল, বুলবুলি পাখি, নৌকা, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিখ্যাত কুশ্মাণ্ডির মুখোশ। বিভিন্ন শিল্পীরা তাদের শ্রম দান করেছেন বাংলার কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভালোবেসে।
সাজো সাজো রবে মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন জারি গানের দল, বীরভূম থেকে এসেছেন হাপু ও বোলান গানের দল। সকলে অংশ গ্রহণ করলেন এই সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র সরকার।শোভাযাত্রার মূল ভাবনা, যা নিখাদ বঙ্গ সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা, তার সাথে সঙ্গতি রেখেই , উদ্বোধন করেছেন গ্রামীণ মাটির বেহালা বাদক রহমত।
সমাজের সব স্তরের হাজার হাজার মানুষ – নারী, শিশু ও পুরুষ নববর্ষের সাজে সুসজ্জিত হয়ে, গ্রীষ্মের প্রথম দিনের প্রবল দাবদাহকে উপেক্ষা করে পা মেলালেন এই বাংলা ও বাঙালীর নিজস্ব সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনের কার্নিভালে – সমস্ত ক্ষুদ্র বা বৃহৎ রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে, এ এক আশ্চর্য রঙিন মঙ্গল ময় শোভাযাত্রা।
আজ পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা তাই এই বছর বিশেষ ভাবে তাৎপর্য বহন করেছে এই শোভাযাত্রা। এই অধরা ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রাকে আপনাদের সংবাদমাধ্যম দ্বারা তুলে ধরুন।