নিউজ ডেস্ক: বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষ পরবর্তী ঘটনা দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিবিদরা এবং প্রশাসন-পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। পরে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে গত ২২ আগস্ট রাতে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু এরপরই ইউএনও এবং ওসির বদলির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পোস্টে বলা হয়, সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাস্তিস্বরূপ ইউএনও এবং ওসিকে বদলি করা হয়েছে। তবে নিউজের হাতে আসা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ওই দুই কর্মকর্তার বদলির আদেশ হয়েছে। এরসঙ্গে ১৮ আগস্ট রাতের সংঘর্ষ বা পরবর্তী ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
প্রজ্ঞাপন দুটির একটিতে দেখা যায়, গত ১০ আগস্ট প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখার প্রজ্ঞাপনে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমানকে একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পদে বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখার উপ-সচিব আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওই প্রজ্ঞাপনে সাক্ষর করেন। জনস্বার্থে এই বদলি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
খবর পেয়ে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সেখানে গেলে তাকে লক্ষ্য করেও আনসার সদস্যরা গুলি করে বলে অভিযোগ করেন স্বপন কুমার দাস। এরপর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মেয়রকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর ৫ দিনের ব্যবধানে গুলিবিদ্ধ প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার বাদী হয়ে ইউএনও’কে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা করেন। পরে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে ২২ আগস্ট রাতে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়।
বদলি প্রসঙ্গে আলাপকালে ইউএনও মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি বদলির আদেশ পেয়েছি ১০ আগস্ট। ১৮ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে আমার বদলির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।