ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়েছে। এ সময় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়।প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু আনসার।অপরদিকে শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়। তখন পুলিশ জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হবে না। বর্তমানে শামসকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এর আগে উদ্দেশ্যমূলক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।বুধবার (২৯ মার্চ) গভীর রাতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে।এর আগে একই অভিযোগে তেজগাঁও থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে।