শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শৈলকুপা রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠন সভাপতি আলমগীর অরণ্য , সাধারণ সম্পাদক টিটো মিজান মাদারীপুরে ডাকাত কামাল পহলান ওরফে সিএনজি কামাল (৪৩) আটক নৌকার মাঝি নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী শৈলকুপা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাকিল আহম্মেদ এর মতবিনিময় ফরিদপুরের মধুখালীতে পানিতে ডুবে নিখোঁজ ১ জন মাদারীপুর জেলা র কবিরাজপুর ছইফউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ এ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা হরিণাকুণ্ডুতে এক দশক ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নতুন ভবন ঝিনাইদহ সদরে মাসুম এবং কালীগঞ্জে শিবলী নোমানী চেয়ারম্যান নির্বাচিত রাজৈরে মহিলা মেম্বার ও নারী নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ নির্বাচনে বাঁধা নেই
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

পিরোজপুরে ‘সকস বাংলাদেশ’ এনজিও গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে নিয়ে উধাও

Reporter Name
Update : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১, ১:২৭ পূর্বাহ্ন

পিরোজপুর প্রতিনিধি: এহসান গ্রুপের পরে এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গ্রাহকদের অর্ধকোটিরও বেশি টাকা নিয়ে ‘সকস বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও উধাও হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল এনজিওটি উপজেলার বাইপাস সড়কের পাশে তাদের ভাড়া নেওয়া বাসাটিতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।
এনজিওটির ভুক্তভুগি গ্রাহকরা জানান, প্রায় ২ মাস ধরে উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ও পত্তাশী ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শবর্তী এলাকায় ঘুরে গ্রাহক সংগ্রহ করে। এরপর তাদেরকে অন্যান্য এনজিও’র মত ১০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে ১,০০০ টাকা সঞ্চয় জমা নেয়। এভাবে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ৩,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা সংগ্রহ করে ওই এনজিওটি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল লোন নিতে গিয়ে এনজিওটি’র অফিসে তালা ঝুলতে দেখেন ঋণ গ্রহীতারা। এনজিওটি দ্বারা প্রতারিত গ্রাহকদের অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণির।
প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের এই সময়ে বর্তমানে অধিকাংশ এনজিও ঋণ দেওয়া বন্ধ রাখায়, তারা ‘সকস বাংলাদেশ’ এর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। আর সেই ঋণের টাকা নিয়ে কেউ গাড়ির ব্যাটারি ক্রয়, অন্যের ঋণ শোধ কিংবা নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন।
এনজিও’র দ্বারা কত গ্রাহক প্রতারিত হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে প্রতারিত গ্রাহকদের ধারণা এ সংখ্যা ৫ শতাধিক।
প্রতারিত গ্রাহকদের একজন মনিরা আক্তার জানান, তিনি ৬০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার জন্য ওই এনজিওটিকে অন্যের কাছ থেকে ধার নিয়ে ৬ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা দেন। এছাড়া ওই এনজিওটিতে ভর্তির জন্য তারা জনপ্রতি আরও ২০০ টাকা পরিশোধ করেন। বর্তমানে সেই ধারের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মনিরা।

এ বিষয়ে ভাড়া নেওয়া বাসাটির মালিক সবুজ হাওলাদার জানান, সে এপ্রিল মাস থেকে ওই এনজিওটিকে বাসা ভাড়া দেন। তবে তাদের সাথে লিখিতভাবে চুক্তি করার আগেই তারা ঘরটিতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে জানিয়েছেন।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানান ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host