পিরোজপুর প্রতিনিধি : রমজানের মধ্যে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেরায় লকডাউন চললেও পিরোজপুরে অনেকটা ডিলেঢালা ভাবে চলছে লকডাউন। শহরের বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট খেধলা রেখে দোকান মালিকরা ব্যবসা পরিচালনা কওে যাচ্ছে। শহরের কাপড়ের দোকানগুলোতে এবয় কসমেটিক্স এর দোকানগুলোতে অবাদে ব্যবসা কওে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। মাছ বাজার ও মুদি বাজারের দোকনগুলোতে উপচে পড়া ভীড় দেখে মনে হয় চলছে ঈদেও বাজার। মানুষের মধ্যে নেই নোক সচেতনতা মানছে না সামাজিক দূরত্ব। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা কওে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতি বার শহরের বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দেখে মনে হয় এ যেনো ঈদের হাওয়া বইছে বাজারে। এরপরেও থেমে নেই পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাজ। তারা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিাচালনা করে যাচ্ছেন এবং মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলোতে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এতকিছুর পরেও আটকানো যাচ্ছে না সাধারণ মানুষদের। মানুষ যেনো আর মানতেই চাচ্ছে না লকডাউনের বাধা। বাজারে যে পরিমান অনিয়ম চলছে তাতে কিছুতেই করোনা সংক্রমনকে আটকানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। দোকান বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন জায়গায় মামলার পরে মামলা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা শহরের বাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের অনিয়ম। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে তারা বিভিন্ন চেকপোষ্টে মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন জানবাহনের উপরে লাইসেন্স এর জন্য মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। এত কিছুর পরেও যেনো নাম মাত্র লকডাউন চলছে পিরোজপুর জেলায়। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না প্রশাসন। তবে অনেকেই দোষারোপ করছেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতিকে। কারন জেলা ব্যবসায়ী সমিতি এবারের লকডাউনে তেমন কোন ভুমিকা পালনে সক্ষম হয়নি। বিগত দিনে লকডাউনে শহরের বাজারে বাশ বেধে কঠোরতার ইঙ্গিত দিলেও এবারে নেই চোখে পড়ার মত তাদের তেমন কোন কার্যক্রম।
শুধু পিরোজপুর শহরের দোকানই নয় মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, কাউখালি সহ প্রায় সব উপজেলার বাজার গুলোর অবস্থা একই রকম খোলা রয়েছে দোকানপাট মানছে না লকডাউন। পাশাপাশি কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্বেও নিশেধাজ্ঞা।
জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব জানান, শহরের বাজারে জণগনের সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি সরকারি নির্দেশনার বাইরে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন পুলিশের নিয়মিত চেকিং থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম চলছে। তবে সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষ যেনো অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকারি নির্দেশনা মেনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, জেলায় লকডাউন শুরু থেকে সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নিমূল আইন ২০১৮ তে নিয়মিত মামলা দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। শহরে দুইটি মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে এবং সকল উপজেলায় একটি কওে মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে।