সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার ‘নিখোঁজ’! শৈলকুপা রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠন সভাপতি আলমগীর অরণ্য , সাধারণ সম্পাদক টিটো মিজান মাদারীপুরে ডাকাত কামাল পহলান ওরফে সিএনজি কামাল (৪৩) আটক নৌকার মাঝি নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী শৈলকুপা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাকিল আহম্মেদ এর মতবিনিময় ফরিদপুরের মধুখালীতে পানিতে ডুবে নিখোঁজ ১ জন মাদারীপুর জেলা র কবিরাজপুর ছইফউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ এ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা হরিণাকুণ্ডুতে এক দশক ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নতুন ভবন ঝিনাইদহ সদরে মাসুম এবং কালীগঞ্জে শিবলী নোমানী চেয়ারম্যান নির্বাচিত রাজৈরে মহিলা মেম্বার ও নারী নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের সময় ভারতীয় ২ ভাইকে গুলি করে হত্যা

Reporter Name
Update : রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

অপহরণের দায়ে অভিযুক্ত ভারতের সাবেক একজন রাজনীতিক ও তার ভাইকে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে আতিক আহমেদ ছিলেন পুলিশি প্রহরায়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অবমাননার অভিযোগ আছে। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় একটি অস্ত্র তাক করা হয় তার মাথায়।

কয়েক রাউন্ড গুলি করার পর তিনজন ব্যক্তি, যারা নিজেদেরকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন, তারা দ্রুততার সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন। তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।  এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এর কয়েকদিন আগে আতিক আহমেদের টিনেজ ছেলেকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এরও আগে পুলিশ থেকে নিজের জীবনের ওপর হুমকি আছে বলে দাবি করেছিলেন আতিক আহমেদ।  ভিডিওতে দেখা গেছে আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মেডিকেল চেকআপের জন্য।হাসপাতাল থেকে সামান্য দূরে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এখানেই তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একটি হত্যা মামলায় জড়িত থাকায় আতিক আহমেদের টিনেজ ছেলে আসাদ এবং অন্য একজন পুলিশের খাতায় ওয়ান্টেড। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে তাকে পুলিশ হত্যা করেছে। একে বলা হয়েছে শুটআউট। ফুটেজে দেখা যায় আতিক আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার ছেলের দাফন অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন কিনা। এ সময় টিভির ক্যামেরা সচল ছিল। তাতে আতিক আহমেদকে তার জীবনের শেষ শব্দ বলতে শোনা যায়। তিনি পুলিশের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন- তারা আমাদেরকে নিয়ে যায়নি। তাই আমি যেতে পারিনি। উল্লেখ্য, আতিক আহমেদ একজন সাবেক এমপি। তার ভাই পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। তাকে নেয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। এখানেই আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অবমাননার অভিযোগ বিচারাধীন। এর আগে অপহরণের দায়ে অভিযুক্ত হন আতিক আহমেদ। তখন ২০১৯ সালে তাকে জেল দেয়া হয়। গত মাসে তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। তাতে তিনি পুলিশের আচরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। বলেন, তার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই পিটিশন শুনানি করতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশ শাসন করছে হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। সেখানে এসব হত্যার সমালোচনা করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলছে, নিহতদের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল। এই প্রদেশে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত কমপক্ষে ১৮০ জন মানুষকে ৬ বছরে হত্যা করেছে পুলিশ। বিরোধীরা বলছে, রাজ্যটিতে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।  বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশকে অভিযুক্ত করছে মানবাধিকার বিষয়ক কর্মীরা। তবে রাজ্য সরকার সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host