মোঃ শাহানুর আলম, ঝিনাইদহ ঃ ননদের দেওয়া দাহ্যপদার্থ এ্যাসিডে ঝলছে গেছে ভাবির শরীর, এব্যপারে পুলিশ ননদ যমুনা খাতুনকে আটক করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চাদপুর গ্রামে। জানা যায় শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে নয়ন হোসেনের স্ত্রী’র গায়ে গত শনিবার ননদের ছোড়া ্এ্যাসিড জাতীয় দাহ্যপদার্থে ঝলছে গেছে ভাবি সুমি খাতুনের শরীর।
এ ঘটনায় শৈলকুপায় থানায় সুমি’র পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ননদ যমুনা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর ফুফু আয়না থাকুন জানান, গত দুই বছর আগে শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের মেয়ে সুমি খাতুনের পাশ্ববর্তী চাঁদপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে নয়ন হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমি খাতুন একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এখন শিশুটির বয়স ৭মাস। এরই মাঝে স্বামীর সংসারে পারিবারিক কলহের জের ধরে সুমি পিতার বাড়িতে চলে যায়। এর পর দুই পরিবারের মধ্যে বৈঠক শেষে সুমিকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। দুইদিন যেতে না যেতেই ঘরজামাই হিসাবে বাড়িতে অবস্থানরত ননদ যমুনা খাতুন, ভাবি সুমিকে পিছন থেকে মাথার উপর এ্যাসিড ঢেলে সারা শরীর ঝলছে দিয়েছে।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শনিবার দুপুরে বাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় ভাবি সুমির শরীরে কেমিকেল জাতীয় দাহ্যপদার্থে ঢেলে দেয় ননদ যমুনা খাতুন। পরে সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সুমিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সুমির বাবার বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রোববার বিকেলে আবারো সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলে সোমবার পুলিশ অভিযুক্ত ননদকে গ্রেফতার করেছে। তার শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। সুমির শারিরীক অবস্থা খারাপ তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মিথিলা পারভীন।