এটি আরও ঘনীভূত হয়ে শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
এদিকে, দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারিসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
আলোচনার কেন্দ্রে এখন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা। তাই কীভাবে এর নাম ‘মোখা’ হলো, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে অনেকের।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের তথ্যানুসারে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক ঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটারের বেশি হলে সেটি ‘সাইক্লোন’ আর বাতাসের গতি এর কম থাকলে বলা হয় ‘নিম্নচাপ’। সেই হিসাবে, বর্তমান গভীর নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার পর এর নাম হবে ‘মোখা’।
এ নামটি দিয়েছে ইয়েমেন। মূলত ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলে অবস্থিত একটি বন্দর শহরের নাম মোখা।
উত্তর ভারত মহাসাগর তথা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্যানেল সদস্য দেশগুলো ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে নামগুলো গ্রহণ করে।
দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এ দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী তৈরি তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ হয়।
তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এ নামটি বাংলাদেশের দেয়া। এর পরবর্তী পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে যথাক্রমে তেজ (ভারত), হামুন (ইরান), মিধিলি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার) ও রিমাল (ওমান)।