কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে একজন সেনা সদস্যের সাথে সদ্য বিবাহিত এক নববধুর গলাকাটা লাশ তার বাবার বাড়ির শয়ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাতে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উলিপুর থানার ওসি তদন্ত তামবিরুল ইসলাম। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ রোববার সকালে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ তেলিপাড়া গ্রামের নববধূ রিংকি (১৭) এর বাবার বাড়ির একটি শয়ন ঘর থেকে তার জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নববধূ রোকাইয়া জান্নাত রিংকি উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। তার বাবা একজন এনজিও কর্মী।
জানা যায়, মাত্র ৫ মাস আগে একই উপজেলার ধরণী বাড়ি ইউনিয়নের কেকতির পাড় এলাকার মৃত কছর উদ্দিন এর ছেলে সেনা সদস্যে মেহেদী হাসানের সাথে রিংকি’র বিয়ে হয়। বর্তমানে তার স্বামী চট্রগ্রাম সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন ।রিংকি’র পারিবারিক সূত্র জানান,মাত্র ৪ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। প্রতিদিন সে মায়ের সাথে ঘুমালেও শনিবার তার মা নানার বাড়িতে যাওয়ায় রিংকি একাই ওই রাতে এক ঘরে ছিল। ঐদিন বাড়িতে অন্যান্যের মধ্যে ছিল তার দাদি, দাদা ও ছোট ভাই।
স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে পরিবারের লোকজন ঘরে রিঙ্কি’র কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ছোট ভাই মোজাহিদ অন্য একটি দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে রিংকি’র গলাকাটা রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে হাউ মাউ করে চিৎকার দিলে তার চিৎকার শুনে দাদা দাদি ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে লাশ প্রত্যক্ষ করেন।
এরপর ঘটনাটি উলিপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে । স্থানীয়দের ধারণা দুর্বৃত্তরা রিমঝিম বৃষ্টির সুযোগ মধ্যরাতের কোন এক সময় বাথরুমের দরজা দিয়ে ঢুকে রিঙ্কি কে জবাই করে হত্যা করেছে।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন ও সিআইডি’র একটি ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, নৃশংস এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের আইনে আওতায় আনার জন্য পুলিশ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।