নিউজ ডেস্ক: ‘তিনি (হারুনুর রশীদ) কী কারণে যেন পরীমনির বিষয়ে বড় বেশি আগ্রহী। আমি জানি না, তার বাসায় কী অবস্থা। এর আগেও তিনি পরীমনির বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলেন। গতকালও সুযোগ পেয়ে পরীমনির বিষয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন।’
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদকে উদ্দেশ করে এভাবেই কথাগুলো বলেন সরকারি দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ।
শুক্রবার জাতীয় সংসদে চিত্রনায়িকা পরীমনি, বোট ক্লাব ও ক্লাবটির সভাপতি পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এবং কলেজছাত্রী মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনায় বসুন্ধরা এমডির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপির সাংসদ হারুন। তিনি এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে চলমান অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে হারুন জানতে চান, আলোচিত বোট ক্লাব অনুমোদন নিয়ে গড়ে উঠেছে কি-না। অনুমোদন থাকলেও বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য আইন অনুযায়ী কীভাবে পুলিশের আইজিপি এই ক্লাবের সভাপতি হন?
হারুন বলেন, ‘আমার জানা নাই ৫০ বছরের ইতিহাসে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এরকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া কর্মকাণ্ড, মাদক কারবারের সঙ্গে তারাও জড়িয়ে পড়েছে।’
আজ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপি সাংসদের গতকাল দেওয়া ওই সব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান আবু সাঈদ আল মাহমুদ। তিনি বলেন, হারুনুর রশীদ অপ্রাসঙ্গিকভাবে পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে সত্যের প্রচুর অপলাপ রয়েছে। তাই তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর কাছে আবেদন জানান তিনি।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়া, হাউজি, রেসকোর্স আইন করে বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়াউর রহমান বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বলে বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি সবকিছু জায়েজ করে দিয়েছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশে মদ, জুয়া, হাউজি বন্ধ করা খুব দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।