বাংলাদেশে বাড়ছে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা। তাদের সুবিধার্থে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র চিৎপুরে নতুন একটি ভিসা তথ্যকেন্দ্র চালু করেছে বাংলাদেশ।কলকাতা স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ছেড়ে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস। খুলনা থেকে আসে বন্ধন এক্সপ্রেসও। আবার ঢাকা থেকেও আসে মৈত্রী এক্সপ্রেস। প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন যাত্রীদের যাওয়া-আসার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু কলকাতা স্টেশন যাকে অনেকেই আবার চিতপুর স্টেশন বলেও চেনেন।
বাংলাদেশে যাওয়া-আসার জন্য এই স্টেশনটির বেড়েছে গুরুত্ব। তাই বাংলাদেশে যেতে চাওয়া অনেক পর্যটক নানা তথ্য সহায়তার জন্য স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এমন বাস্তবতায় এবার কলকাতা স্টেশনেই চালু করা হলো ভিসা তথ্যকেন্দ্র। এখানেই মিলবে ভিসা কিম্বা বাংলাদেশে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় সব তথ্য।
করোনার কারণে বিশ্বে প্রায় সব দেশে থমকে যায় পর্যটন খাত। সেই ধাক্কা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। তবে করোনার পর এখন আগের সব রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতীয় পর্যটক। পর্যটকরা বলছেন, এখানে ভিসা সেন্টার হওয়ায় আমাদের জন্যে অনেক সুবিধা হবে। এই ভিসা সেন্টার চালু হওয়ায় বাংলাদেশে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস জানান, বাংলাদেশের পর্যটকবান্ধব পরিবেশ ছাড়াও শিল্প-বাণিজ্যে সম্ভাবনা বাড়ায় ভারতীয়দের মধ্যে বাংলাদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ ভিসার আবেদন আমরা পাচ্ছি। আমরা সে জন্যে প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করছি।
ভিসা কনসুলার এ এস এম আলমাস হোসেইন বলেন, সবচেয়ে বেশি ভিসার আবেদন কলকাতা থেকে আসে। যতই চাপ থাকুক না কেন আমরা সহজ ভাবেই সেটা গ্রহণ করছি। আমরা খুশি এখন বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ ঘুরতে যাচ্ছে।
২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে ভিসা তথ্য কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। বেসরকারি ওই সংস্থাটি কলকাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতেও একটি শাখা খুলে বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের ভিসা সংক্রান্ত সব ধরনের পরিষেবা দিয়ে আসছে।