লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-পুত্রবধূকে শাবল ও খোর দিয়ে গালে ৪-৫ টি লম্বা টান দিয়ে কেটে দিয়েছে শাশুড়ির ননদ এবং মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করে চাচা শ্বশুর এই ঘটনা শাশুড়ি ননদকে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।জানাযায় ৬ ই অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কুমড়ীর হাট ভেটেশ্বর এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী ঝিনুক আক্তার কে শাশুড়ি মা শেফালী বেগম, ননদ মৌসুমী আক্তার, চাচা শশুর মশিয়ার, নুরুল হক, মোবারক, ফুপা শশুর জিকরুল ইসলাম, পূর্বে পরিকল্পনা অনুযায়ী রুমের মধ্যে আটক করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করেন, আহতর আত্মচিৎকারে স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। এলাকাবাসী জানায় জমি জমা বিরোধ নিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়ে আসছে চাচা ও মা এর সাথে, নিজের ভাতিজা এবং ছেলের সঙ্গে না পেরে পুত্রবধূকে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করেন,এই ঘটনার একমাস পূর্বে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ পুত্রবধূকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন সেই সময়ে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হলে তার অবস্থা অবনতি হলে ডাক্তার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা জন্য পাঠায় । সেই সময়ে ৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন ঝিনুক আক্তার বিষয়টি পারিবারিক দেখে মামলা করা হয়নি বলে জানান ,একই ব্যক্তিগণ পুনরায় ৬ই অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় পুনরায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন, আহত ঝিনুক আক্তার বর্তমানে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রয়েছেন । আহত ঝিনুক আক্তারের মাথায় আঘাত ও গালে ৪-৫ স্থানে লম্বা করে খুর দিয়ে কাটা জখম রয়েছে। আদিতমারী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই ফারুক এই প্রতিবেদককে জানাই ভিকটিম ঝিনুক আক্তার এর মা নার্গিস পারভিন বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন উক্ত মামলায় ভিকটিম ঝিনুক আক্তারের শাশুড়ি শেফালী খাতুন ও ননদ মৌসুমী আক্তার কে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আদিতমারী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক জানায় পুত্রবধূর ঝিনুক আক্তারের শাশুড়ি শেফালী বেগম, ও ননদ মৌসুমী আক্তার কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।