মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক: ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউনিয়ের বোড়াই (মাঝপাড়া) গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসির স্ত্রী’র সাথে একই গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে ইদ্রিসুল আলম মেম্বরের অবৈধ সম্পর্কে ৪ মাসের অন্তসত্বা হয়েছে প্রবাসির স্ত্রী। এঘটনা জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়! সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়ের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যে আব্দুল বারীর ছেলে ইদ্রিসুল আলম (৬৫) মেম্বরের সাথে সৌদি আরব প্রবাসির স্ত্রী’র সাথে দীর্ঘ দিনের অবৈধ সম্পর্কের কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী সেই নারী। সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য তিনি। ইদ্রিসুল আলম সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়া গ্রামের আঃ বারী বিশ্বাসের ছেলে। সংসারে তার ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। জানা গেছে, ১৭ বছর আগে বোড়া গ্রামের মাছ পাড়ায় বিয়ে হয় ঐ গৃহবধূর। তার সংসারে ১৫ ও ১২ বছর বয়সী ২ ছেলে রয়েছে। ৪ বছর আগে সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে যায় গৃহবধূর স্বামী । গৃহবধূর চাচাতো দেবর সাংবাদিকদের জানান, তার ভাই বিদেশ যাওয়ার পরে একটি সুই কেনার প্রয়োজন হলেও গৃহবধূ ইদ্রিস মেম্বারকে দিয়ে করাতেন। পরিবারের সকল সিদ্ধান্ত-কেনা কাটা সব তিনি করতেন। রাত বিরাত নেই। অবাধ যাতায়াত। গত কয়েকদিন আগে পেটের অস্বাভাবিক উচ্চতা লক্ষ্য করে জেলা সদরের ডাকবাংলা বাজারের আল্ জাজিরা ডায়গনস্টিক সেন্টারের মান্নান ডাক্তারের কাছে যান। গ্রামের অনেকেই বলেছিল টিউমার হতে পারে। কিন্তু আল্ট্রাসনো করার পরে দেখা যায় ঐ গৃহবধূ ৪ মাসের গর্ভবতী। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে মেম্বার ইদ্রিসুল আলম সেই গৃহবধূ ৫০০ টাকাও দিয়েছিলেন। ৪ বছর স্বামী বিদেশ স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার খবরে পরিবারে ও গ্রামে নানা কানাঘুষা চলছে। পরিবারে শুরু হয়েছে অশান্তি। এর মধ্যে খবর পাওয়া গেছে ঐগৃহবধূ আল্ জাজিরা ডায়গনস্টিক সেন্টারের মান্নান ডাক্তারের নিকটে গর্ভপাত করার চেষ্টাও করেন। তবে মান্নান ডাক্তার গর্ভপাত করাতে তার স্বামীর অনুমতি লাগবে বলে জানিয়ে দেন। একথা শুনে গৃহবধু আত্মগোপনে রয়েছেন। এদিকে ইদ্রিসুল আলমের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিতে চেষ্টা করেন। এবিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দিন তার মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।