মোঃ শাহানুর আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের এক স্বামী পরিত্যাক্তা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবতীর সঙ্গে বিয়ের আশ্বাসে অবৈধ মেলামেশায় ওই নারী এখন ছয় মাসের গর্ভবতী। পুলিশ নারীকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারী বিজয়পুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের মেয়ে সামেলা খাতুনের বাড়িতে কাজের জন্য আসা যাওয়া করতো। সামেলা স্বামী পরিত্যাক্তা একজন বিপথগামী মহিলা। অভিযোগ উঠেছে সামেলা খাতুনের সহায়তায় কিছু ইজিবাইক চালক বিয়ের আশ্বাসে তার বাড়ীতে এসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে অজ্ঞাত দুই তিন যুবকের সামনে ওই নারীকে ঘরের মধ্যে দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করায় সামেলা। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। অজ্ঞাত আরও দুই তিনজন যুবকের সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য সামেলা চাপ দিত না হলে জানাজানি করে দেব বলে ব্লাকম্যাল করে। মেলামেশার বিষয়টি গ্রামের মাতুব্বরদের জানানো হবে বলে শামেলা খাতুন হুমকি দেয়। এভাবে কিছু অজ্ঞাত যুবকের সঙ্গে একাধিকবার অবৈধ মেলামেশার ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ৬ মাস গর্ভবতী হওয়ার খবরটি বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়ে যায়। বিজয়পুর গ্রামের মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে বসাবসি করে এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্বামী পরিত্যাক্তা গর্ভবর্তী মহিলার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সামেলা খাতুন আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যেত এবং অপরিচিত পুরুষের হাতে আমাকে তুলে দিত। আমি কাওকে চিনিনা। তার গর্ভের সন্তনের পরিচয় তিনি চান। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন। কারা কারা ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া আশা করতো তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসী। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সামেলা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামী অপুর পরিবার থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অপুকে জড়ানো হয়েছে । তাকে মামলা থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানান।