রাকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটে কৃষকের স্বপ্নের বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। ধান ঘরে তোলার সময় খুবই নিকটে। তবে আশাবাদী ফলনের বাধা এখন নেক ব্লাস সংক্রমণ।ভালো ফলনের হুমকির নাম এই নেক ব্লাস্ট।
শনবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে
জেলার অধিংকাশ এলাকার পাকতে শুরু হওয়া ধান ক্ষেত গুলোতে আক্রমণ করেছে নেক ব্লাস্ট।
ধানে এ রোগ সংক্রামণ হওয়ায় পাকা ধানের শীষ গুলো ধীরে ধীরে হালকা সাদা ও পরে পাতান(চাল বিহীন) হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করেও নেক ব্লাস্টের প্রতিকার করতে পারছে না কৃষকরা। এতে হতাশ হতে হচ্ছে ফসল নিয়ে স্বপ্নবাজ এ কৃষকদের।
কৃষকদের ভাস্যমতে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে জেলার অধিকাংশ এলাকার পাকা বোরো ধান মাড়াইয় পর্যায়ে যাবে।
এই সময়ে নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ হওয়ায় ভালো ফলন নিয়ে শংকা তাদের।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকার কৃষক আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার ধান প্রায় পেকে গেছে, ধানের গাছ দেখে ভালো ফলনও হবে মনে হয়। কিন্তু ক্ষেতের কিছু কিছু অংশে ব্লাস্ট সংক্রমণ হওয়ায় একটু চিন্তায় আছি৷
জেলার আদিতমারি উপজেলার দৈলজোর এলাকার কৃষক জয়নুল আবেদীন বলেন, আমার ধান খুব ভালো হয়েছিলো। হঠাৎ ব্লাস্ট ধরে ক্ষেতের অনেক অংশের ধান গুলো পাতান হয়ে যাচ্ছে। কয়েক প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেও ভালো ফল পাচ্ছি না। আর পরামর্শ দিতে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় কৃষি অফিসের কাউকেও চোখে পড়েনি আমার৷
এ মৌসুমে ধানে নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ বিষয়ে জানতে চাইলে খামার বাড়ি লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম আশরাফ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় সাতচল্লিশ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল
তবে চাষাবাদ হয়েছে সাতচল্লিশ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে (লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা ৪৫০ হেক্টর বেশি)। তথ্যমতে চাষাবাদ কৃত ধানে ব্লাস্ট সংক্রমণ হয়েছে ৬.৯ হেক্টর এর মধ্যে বিভিন্ন ছত্রাক নাশক ব্যবহার করে ৪.৫ হেক্টর জমির ব্লাস দমন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমের নেক ব্লাস্ট সংক্রমণ ঠেকাতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।