নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার। আদালতে দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআইয়ের তদন্তে এ তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও নতুন দায়ের করা মামলায় এই লেনদেনের উল্লেখ আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, স্ত্রী হত্যার তিন দিন পর বাবুল আক্তার তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন, তার লাভের অংশ থেকে তাকে যেন তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সাইফুল বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ই জুন চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনায় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পিবিআই সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাবুলের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, পুলিশ যথাযথ তদন্ত না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি সেখানে ন্যায়বিচার পাব।