ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি পেতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বামীর বাড়ীর গেটের সামনে এক কিশোরী অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১১টার থেকে কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের স্বামী মামুন হোসেনের বাড়ীতে অবস্থান করছেন মেয়েটি। মামুন হোসেন ওই একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
কিশোরী তামান্না খাতুন (১৬) যশোর মনিরামপুরের টুনিয়াঘরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে জানায়, গত ২ বছর আগে মনিরামপুরে মামুনের মামার দোকানে থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত ১৩ মাস আগে বাড়ী থেকে বিয়ে উদ্দেশ্যে কালীগঞ্জ চলে আসেন তারা। এরপর বিয়ে করে কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ঈদের আগে দাদার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মামুন। বিয়ের কোন কাগজপত্রও তার কাছে নেই। সব দিক হারিয়ে এতিম মেয়েটি উপায় অন্ত না পেয়ে কালীগঞ্জে তার স্বামীর বাড়ীতে আসলেও তাকে বাসায় ঠুকতে দেয়নি শশুর বাড়ীর লোকজন।
তিনি আরও জানান, পাঁচ বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার কিছুদিন পর মা অন্য জায়গায় বিবাহ করেন। বাবা হারা তিন ভাই বোনের জায়গা হয় দাদার বাড়ীতে। ছোট দুই ভাই এতিমখানায় থেকে লেখাপড়া করে, সে নিজেও মাদ্রাসায় কারিয়ানা পড়তো। কিন্তু বিয়ের করার পরে সেটাও বন্ধ। এখন স্বামীর বাড়ী ছাড়া আর কোথাও থাকার কোন জায়গা নেই তার। অন্যথায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে। এজন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রতিবেশী আব্দুস সালাম জানায়, শুনেছি মামুন অনেক আগেই বিয়ে করেছে। সে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া থাকতো। স্ত্রীর সাথে কি হয়েছে জানিনা তবে সে এখন তার নিজ বাসায় থাকে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে যায় এবং ডাকাডাকি করেও বাড়ীতে কাওকে পাওয়া যায়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।