শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কারকারিদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,গুলি বর্ষণ, পুলিশসহ আহত-৪০, আটক-২ সারা দেশে নিহতের সংখ্যা ১৩ স্বাচিপ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মামুন, সম্পাদক ডাঃ কাওসার শিবির কর্মী-ছাত্রদল এবং বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে-মোজাম্মেল হক সারা বাংলা র ৮৮ এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন সারা বাংলা’র ৮৮ মাদারীপুর জেলা প্যানেলের উদ্যোগে চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-২০ রংপুরে পুলিশের গুলিতে কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ নিহত চীন-রাশিয়া সামরিক মহড়া ছাত্র নিহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অসত্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

সেনাবাহিনী মিয়ানমার দখল করে নিল জরুরী অবস্থা ঘোষনা

Reporter Name
Update : মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১:৩৩ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনী মিয়ানমার দখল করে নিল। ক্ষমতায় এসেছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তবে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সুচি। বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিমারা এই দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই অভ্যুত্থান তাদের সেই প্রচেষ্টাকে পথচ্যুত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নিকট প্রতিবেশী চীনের রয়েছে মিয়ানমারে শক্তিশালী প্রভাব। অভ্যুত্থানের পরে চীন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, মিয়ানমারের ভেতরকার সমস্যা তারাই সমাধান করবে। এর কূটনৈতিক অর্থ হতে পারে, এই সমস্যা সমাধানে বাইরের কারো প্রয়োজন নেই।

৮ই নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন হয় মিয়ানমারে। সেই নির্বাচনে শতকরা ৮৩ ভাগেরও বেশি আসনে জয় পায় এনএলডি। এই নির্বাচনকে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক শাসনের পক্ষে গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, সূর্য্যের আলো ফোটার আগেই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দিয়েছে সেনারা। তারা রাজধানী নেপিড, প্রধান বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এনএলডি নেতাদের গ্রেপ্তারের পর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্ব। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। আল জাজিরার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে ভারত পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন সব সময়ই অবিচল ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

ওদিকে ইয়াঙ্গুন সহ বিভিন্ন এলাকায় বাজারঘাটগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে মজুত রাখার জন্য মানুষের ভিড় পড়ে গেছে। এটিএম বুথগুলোতে অর্থ তোলার দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল থাকার জন্য সারাদিন ব্যাংকগুলো তাদের সেবা স্থগিত করেছিল। এ সময় রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে। এ অবস্থায় সুচির পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে তার দল এনএলডি। এতে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুচি। কিন্তু ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে। সেনাবাহিনীকে সমর্থনকারীদেরও দেখা গেছে রাজপথে। তারা অভ্যুত্থানকে সেলিব্রেট জানাচ্ছিল জাতীয় পতাকা হাতে। পিকআপের ওপর অবস্থান নিয়ে তারা পতাকা নাড়াচ্ছিলেন। জাতীয়তাবাদী একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি সোমবারকে জনগণের জন্য খুশির দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু গণতন্ত্রপন্থিরা এবং এনএলডিপন্থি ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভীতি, ক্ষোভ। শিক্ষার্থী সি থুন তুন বলেছেন, আমার দেশ একটি পাখির মতো ছিল। সবেমাত্র সে উড়তে শিখছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী আমাদের ডানা ভেঙে দিয়েছে। একজন নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা এনএলডি সরকারকে ভোট দিয়েছিলাম। যদি তারা (সেনাবাহিনী) নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হতেন, হালে তারা আরেকটি নির্বাচন আহ্বান করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তারা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এমন মন্তব্যকারী নারীর স্বামীও একজন সেনা কর্মকর্তা।

ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এনএলডি’র সিনিয়র নেতা উইন হতেই। এতে তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধানের কাছে দেশ নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। এর চেয়ে তার কাছে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাই বড়। তাই তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিন্ট হতই। তিনি সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের সেবাদান অব্যাহত রাখতে, বিশেষ করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে। সাই লিন মাইয়াত বলেছেন, সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর আগে এমপিদেরকে তাদের আবাসিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সব বন্দির মুক্তি দাবি করা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানানো হয়েছে। একই রকম নিন্দা ও মন্তব্য করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মিয়ানমারের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা তাদের সেই আকাঙ্ক্ষার পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ওদিকে ইয়াঙ্গুনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে নাগরিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে মার্কিন সব নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। মিয়ানমারে ব্যবসায় বড় একটি দাতাদেশ জাপান। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের একটি সূত্র বলেছেন, মিয়ানমার যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে পারে জাপান। এর মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাবের পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে তারা। মিয়ানমারের সব পক্ষকে সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন। একই সঙ্গে স্থিতিশীলতা সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তবে তারা মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে নিন্দা প্রকাশ করেনি। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু এর থেকে একহাত বেশি এগিয়ে গিয়েছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। থাইল্যান্ড সরকার মিয়ানমারের অভ্যুত্থানকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে।

মিয়ানমার দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ‘নির্বাচনে জালিয়াতির’ অভিযোগে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে সেনারা। শান্তিতে পুরস্কারবিজয়ী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছে তারা। সোমবার ভোরে সুচি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনারা। এরপর সেনা মালিকানাধীন টেলিভিশনে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীতে টহল দিচ্ছিল সেনাবাহিনী। এক বছরের জন্য জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

ক্ষমতায় এসেছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তবে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সুচি। বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিমারা এই দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই অভ্যুত্থান তাদের সেই প্রচেষ্টাকে পথচ্যুত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নিকট প্রতিবেশী চীনের রয়েছে মিয়ানমারে শক্তিশালী প্রভাব। অভ্যুত্থানের পরে চীন যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, মিয়ানমারের ভেতরকার সমস্যা তারাই সমাধান করবে। এর কূটনৈতিক অর্থ হতে পারে, এই সমস্যা সমাধানে বাইরের কারো প্রয়োজন নেই।

৮ই নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন হয় মিয়ানমারে। সেই নির্বাচনে শতকরা ৮৩ ভাগেরও বেশি আসনে জয় পায় এনএলডি। এই নির্বাচনকে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক শাসনের পক্ষে গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছিল। নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, সূর্য্যের আলো ফোটার আগেই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দিয়েছে সেনারা। তারা রাজধানী নেপিড, প্রধান বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এনএলডি নেতাদের গ্রেপ্তারের পর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্ব। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। আল জাজিরার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে ভারত পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন সব সময়ই অবিচল ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

ওদিকে ইয়াঙ্গুন সহ বিভিন্ন এলাকায় বাজারঘাটগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে মজুত রাখার জন্য মানুষের ভিড় পড়ে গেছে। এটিএম বুথগুলোতে অর্থ তোলার দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল থাকার জন্য সারাদিন ব্যাংকগুলো তাদের সেবা স্থগিত করেছিল। এ সময় রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে। এ অবস্থায় সুচির পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে তার দল এনএলডি। এতে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুচি। কিন্তু ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে। সেনাবাহিনীকে সমর্থনকারীদেরও দেখা গেছে রাজপথে। তারা অভ্যুত্থানকে সেলিব্রেট জানাচ্ছিল জাতীয় পতাকা হাতে। পিকআপের ওপর অবস্থান নিয়ে তারা পতাকা নাড়াচ্ছিলেন। জাতীয়তাবাদী একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি সোমবারকে জনগণের জন্য খুশির দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু গণতন্ত্রপন্থিরা এবং এনএলডিপন্থি ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভীতি, ক্ষোভ। শিক্ষার্থী সি থুন তুন বলেছেন, আমার দেশ একটি পাখির মতো ছিল। সবেমাত্র সে উড়তে শিখছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী আমাদের ডানা ভেঙে দিয়েছে। একজন নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা এনএলডি সরকারকে ভোট দিয়েছিলাম। যদি তারা (সেনাবাহিনী) নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হতেন, হালে তারা আরেকটি নির্বাচন আহ্বান করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তারা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এমন মন্তব্যকারী নারীর স্বামীও একজন সেনা কর্মকর্তা।

ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এনএলডি’র সিনিয়র নেতা উইন হতেই। এতে তিনি বলেছেন, সেনাপ্রধানের কাছে দেশ নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। এর চেয়ে তার কাছে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাই বড়। তাই তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিন্ট হতই। তিনি সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের সেবাদান অব্যাহত রাখতে, বিশেষ করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে। সাই লিন মাইয়াত বলেছেন, সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর আগে এমপিদেরকে তাদের আবাসিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সব বন্দির মুক্তি দাবি করা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানানো হয়েছে। একই রকম নিন্দা ও মন্তব্য করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মিয়ানমারের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা তাদের সেই আকাঙ্ক্ষার পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ওদিকে ইয়াঙ্গুনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে নাগরিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে মার্কিন সব নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। মিয়ানমারে ব্যবসায় বড় একটি দাতাদেশ জাপান। সেখানকার ক্ষমতাসীন দলের একটি সূত্র বলেছেন, মিয়ানমার যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে পারে জাপান। এর মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাবের পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে তারা। মিয়ানমারের সব পক্ষকে সংবিধানের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন। একই সঙ্গে স্থিতিশীলতা সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তবে তারা মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে নিন্দা প্রকাশ করেনি। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু এর থেকে একহাত বেশি এগিয়ে গিয়েছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। থাইল্যান্ড সরকার মিয়ানমারের অভ্যুত্থানকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host