ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা ও ঘাঘটনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে সাড়ে ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
![](http://newssonarbangla.com/wp-content/uploads/2022/06/FBC-300x138.jpg)
জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নদীদ্বয়ের পানিবৃদ্ধি শুরু হয়। বর্তমানে তিস্তানদীর পানি বিপদসীমার শূণ্য ৬ সে. মি. নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, ঘাঘটনদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। এতে নদীদ্বয়ের বিভিন্ন চর ও কূলে বসবাসকারী ২৫ হাজারেরও বেশি সংখ্যক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যা কবলিত পরিবারগুলো বেড়িবাঁধ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে স্থান নিয়েছেন। পানীয় জল, খাদ্য সামগ্রী, টয়লেট সমস্যাসহ নানাবিধ সমস্যায় বন্যার্ত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বন্যা কবলিত কাপাসিয়া, হরিপুর, বেলকা, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, বামনডাঙ্গা ও শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যানগণের সঙ্গে মোবাইলফোণে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে তাঁরা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পানিবন্দী পরিবারগুলোর জন্য এখনো কোন প্রকার খাদ্য বা ত্রাণ সামগ্রী, পানীয় জল পৌঁছেনি।
থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, বন্যা কবলিত মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, তাঁর দপ্তরাধীন পানিবন্দী ২ হাজার ৮’শ পরিবারের জন্য ২০ মে. টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। এসব চাল দ্রুতগতিতে এসব পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।