সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: কথায় বলে রাখে আল্লাহ মারে কে! সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তৈলকুপী গ্রামে অনেকটা ঘটা করে আরজিনা খাতুন (১৩) নামের এক কুমারী মায়ের অন্তঃসত্ত্বা ৭ মাসের শিশু কে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো হয়। ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকালের পর কোন এক সময় উক্ত গর্ভপাতে কুমারী মা জন্ম দেন ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের। রাতে তাঁকে হত্যা করে মাটি চাঁপা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন কুমারি মায়ের মা-বাবাসহ চাচীরা। আর এ অবৈধ গর্ভপাতের নেতৃত্ব দেন ধাত্রী সরুলিয়া ইউপির এক মহিলা সদস্যা।
গোপনে এ খবর জানতে পেরে পাটকেলঘাটা থানার এসআই সবুজ মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ নবজাতক শিশু কে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। এদিকে কেন নবজাতক কে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয় তা নিয়ে গ্রামাবাসীর মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। ভিকটিম (কুমারী মা) একই পাড়ার শাহাবুদ্দীন বিশ্বাসের পুত্র হযরত আলী (২২) কে এ পুত্র সন্তানের পিতা বলে দাবী করেছে বলে উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবী, যদি প্রতিবেশি হযরত আলীর দ্বারা এ ঘটনা ঘটে থাকে তবে কেন তাঁর অভিভাবকসহ গ্রামাবাসী সেটা পুলিশকে জানাননি। তারপরেও কেন গোপনে কাউকে কিছু না জানিয়ে অবৈধ গর্ভপাতের পথ অবলম্বন করলো। আসলেই কি হযরত আলী এ ঘটনার সাথে জড়িত, নাকি হযরত আলীর নাম ব্যবহার আসল অপরাধী কে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানিয়েছেন, একই গ্রামের ১ কিলোমিটার দূরের এক প্রভাবশালীর বাড়িতে মেয়েসহ তাঁদের পারিবারের যাতায়াত ছিল। ঘটনা সে দিকেও যেতে পারে।
এ বিষয়ে হযরত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে নবজাতকের পিতা না বলে জানিয়েছেন। গ্রামাবাসী হত্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া শিশুর পিতা কে তাঁর উপযুক্ত প্রমাণের জন্য ডিএনএ টেষ্টের দাবি জানিয়েছেন।
পাটকেলঘাটা থানার এসআই সবুজ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নবজাতক শিশুটি বর্তমানে তার নানীর সাথে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নবজাতক শিশুটির মা আরাজিনা খাতুন তৈলকুপী গ্রামে তাঁর বাবা বাড়িতে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।