বরগুনা সংবাদদাতা: ১৩ বছর আগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন মিলন আকন। বৃহস্পতিবার জীবিত অবস্থায় ফিরেছেন নিজ পরিবারের কাছে। এত বছর পর জীবিত ফিরে আসায় মিলনকে নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বরগুনার তালতলী থেকে দুপুর ১টার দিকে মিলনকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার মা মিনারা বেগম। মিলন কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম আকনের বড় ছেলে। তাকে দেখতে ভিড় করেছেন অসংখ্য মানুষ।
মিলনের বাবা শাহ-আলম আকন বলেন, আমার ছেলে ২০০৮ সালে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে ফারুক, খোকন নামে আরো দুইজন ছিল। কেউই ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি তাদের। হঠাৎ দুইদিন হলো শুনতে পেয়েছি আমার ছেলে মিলনকে নাকি পাওয়া গেছে বরগুনার তালতলীতে। পরে ওর মা গিয়ে নিয়ে আসছে এবং এটা যে আমারই ছেলে তা আমি পুরোপুরি নিশ্চিত।
মিলন আকন নিখোঁজ হওয়ার চার মাস আগে বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার ছয় বছর পর তার স্ত্রী পাখিকে পরিবারের সবাই মিলে অন্য জায়গায় বিয়ে দেন।
মিলনের মা মিনারা বেগম বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর ছেলেকে আমার বুকে ফিরে পেয়েছি। আমি অনেকদিন এই সাগর পাড়ে ছেলের খোঁজে দিন কাটিয়েছি। আজ আমার আর কিছু চাওয়ার নেই, আমার ছেলেটা এখন মানসিকভাবে অসুস্থ। আমি এখন ওরে চিকিৎসা করাব। ও সুস্থ হলে বলতে পারবে এতদিন কোথায় ছিল।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির শরীফ বলেন, মিলন ২০০৮ সালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল, আজ তাকে তার পরিবার বরগুনার তালতলী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বাবা, মা ও পরিবারের লোক তার গায়ে থাকা যে কাটা দাগের কথা বলছে তা পুরোপুরি মিলছে। তার সঙ্গে কাজ করা জেলেদের মাধ্যমেও আমি মিলনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।