বাড়ি দখল নিতে বাঁধা দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার ভোরে সলঙ্গা থানার পাঠানপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় ১১জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে ওই যুবকের মা হাসিমন খাতুন।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউপির পাঠানপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বসতবাড়ী ও জায়গা-জমি নিয়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী হযরত আলী ফকির ও ফজলার রহমান গংদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিষয়টি গ্রাম প্রধানরা একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করেছেন। প্রধানদের রায় মানেন না হযরত আলী ফকির ও ফজলার গং।
এরই এক পর্যায়ে সোমবার ভোরে হযরত আলী ফকির ও ফজলার গং দেশীয় অস্ত্র দা, কুড়াল, ছুরি ও লাঠি শোঠায় সজ্জিত বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন সঙ্গে নিয়ে ইসমাইল হোসেনের বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় ইসমাইল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালী হযরত আলী ফকির ও ফজলার গং। তার নির্দেশে অন্যান্য সহযোগীরা ওই যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাল গাছের সঙ্গে বেঁধে চর-থাপ্পড় মারতে থাকে।
এছাড়াও বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর ও বসতবাড়ির জায়গা দখলের চেষ্টা চালায় এবং হত্যার হুমকি দেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই যুবককে আটকে রাখার পর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা কৌশলে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ও গ্রামের মাতব্বররা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় এমন নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান।
সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, এ নির্যাতনের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।