রকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিহাট প্রতিনিধিঃ আগে ঈদে প্রধানমন্ত্রী যাকাতের শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করেছিল। তাহা বিটিভিতে বার বার দেখাত। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষকে ঈদের উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা বাড়ি দিচ্ছেন। আমাদের আত্ম সামাজিক মর্যাদা ও উন্নয়ন ঘটেছে। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে লালমনিরহাট জেলা কে গৃহহীন মুক্ত ( ” ক” শ্রণির) ঘোষনা করা হবে। তার আগে জুন মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পাটগ্রাম উপজেলা কে ” ক” শ্রেণির গৃহহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা না করা হবে।
আজ রবিবার বিকাল ৫ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ঈদ উপহার হিসেবে আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনেদের দুই শতাংশ জমির মালিকানা সহ পাকা বাড়ি উপহার দেয়ার প্রস্তুতি সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। জেলার ৫টি উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে এক হাজার একশত ৮৪ টি গৃহহীন পরিবার জমি সহ পাকা বাড়ি ঈদ উপহার হিসেবে পাচ্ছে। আগামী ২৬ এপ্রিল ৬ শত ৯৬ টি পরিবারকে জমির দলিল সহ পাকা বাড়ি উপহারের দলিল হস্তান্তর করা হবে। এই দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, বলেন, আমরা ছাত্র অবস্থায় দেখেছি আগের সরকার প্রধান গণ ঈদের সময় দরিদ্র মানুষের মাঝে শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করতেন। এখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার কে ঈদের উপহার পাকা বাড়ি দিচ্ছে। এটা একটি অসম্ভব কাজ। দেশের এমন সব জেলা আছে যেখানে দুই শতাংশ জমির মালিকানা সহ বাড়ি নির্মাণ করে দিতে ৪০/৪৫ লাখ টাকা খরচ হয়। যেটা মধ্যেবর্তী পরিবার সারা জীবন চাকরি করে চাকরি শেষে অবসরে গিয়ে করতে পারে। এই অসম্ভব কাজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছে। তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জে একটি ভূমিহীন পরিবার কে দুই শতাংশ জমি সহ বাড়ি করে দিতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লাগে। উত্তরাঞ্চলে হয়ত কম লাগে কিন্তু সারা দেশে গৃহহীন পরিবার মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
লালমনিরহাট জেলায় আর মাত্র ৩ হাজার পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিলে এই জেলা ” ক” শ্রেণি ভুক্ত গৃহহীন পরিবার মুক্ত জেলা হয়ে যাবে। ডিসেম্বর মাসে গৃহহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষনা আসছে৷ নতুন করে নদী গর্ভে বসত ভিটাহারিয়ে ভুমিহীন হওয়ার বিষয়টি ভিন্ন। হঠাৎ দরিদ্র হয়ে ভুমিহীন হওয়ার বিষয়টিও আলাদা। জুন মাসে জেলার কালীগঞ্জে উপজেলাকে গৃহহীন পরিবার মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হবে। সেই লক্ষ্যে ১২০ টি গৃহহীন পরিবার কে দুই শতাংশ জমি সহ বাড়ি দেয়া হবে। তার পরপরেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল পাটগ্রাম উপজেলায় এক শত পরিবার কে জমি সহ বাড়ি উপহার দিয়ে গৃহহীন পরিবার মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এবারে প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে সামান্য ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই নির্মাণ ব্যয় বাড়ি প্রতি ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫ শত টাকা হয়েছে।