রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ অফিসার আবিদা সুলতানা (এসপি) লালমনিরহাট জেলার নেতৃত্ব ও দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জেলাবাসী অন্তরে প্রবেশ করে আস্থা, ভালবাসা ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
করোনা মহামারিতে তার স্বামীসহ অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে জেলার মানুষের ভালবাসা অর্জন করেছেন।
গত ১২ জুন (মানবাধিকার বান্ধব) পুলিশ সুপার হিসাবে আবিদা সুলতানাকে ঘোষণা করেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা এর রংপুর বিভাগীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি (প্রশাসন) এবং ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি কমিশন এর প্রতিনিধি মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান।
এ বিষয়ে মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান (২৮ মে) শুক্রবার জানান, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা তার কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে জন-সাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তার কর্মে নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবিদার। ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতি তথা সমাজের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সহ মানবিক কর্মে নিজেক প্রশস্ত করবেন এটাই প্রত্যাশা করি নিরন্তর।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের বাগদির বাজারের একটি নিরীহ বেওয়ারিশ কুকুরকে অমানবিক কসাই (গরুর মাংশ বিক্রেতা) ছুরি মারে। ছুরিটি কুকুরটির পেটে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে বের হয়। অসহ্য যন্ত্রনায় সারাদিন কোঁকাতে থাকে।
কুকুরটির অসহায়ত্বের ভিডিও ধারণ করে পশু প্রেমিক তার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করেন এবং পশুর প্রতি এধরণের নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করার জন্য সংশ্লষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারপর সেখান থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের হাজারো একাউন্টে।
সেই ভিডিওটি নজরে আসে মিসেস জীশান মীর্জা, সভানেত্রী, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এবং আইজিপি মহোদয়ের সহধর্মিণীর। নিরীহ একটি প্রাণীর প্রতি এমন অমানবিক নিষ্ঠুরতার বিষয়টি তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করেন।
পুলিশ ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল সনাক্ত করতে এবং ছুরিকাঘাতকারী সেই কসাইকে খুঁজে বের করতে কাজে নেমে পড়ে।
যাহার দায়িত্বভার অর্পিত হয় লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার কাছে এবং তার নির্দেশে আদিতমারি থানার ওসি সাইফুল ইসলাম উক্ত ব্যক্তি (আনারুল কসাইকে) খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় এবং আটক করে আইনের আওতায় আনেন। সেই সাথে আহত কুকুরটির উন্নত চিকিৎসার জন্য এনিমেল রেসকিউয়ার অফ বাংলাদেশ এর সাথে যোগাযোগ করেন।
সংবাদ পেয়ে সংগঠনটির প্রধান কেয়া চৌধুরী ও রূকসাৎ হক কুকুরটির উন্নত চিকিৎসার উদ্দ্যোগ নেন। পরবর্তিতে তাদের পাঠানো প্রতিনিধি দ্বারা আহত কুকুরটিকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।