রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে লালমনিরহাটের নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদ সিমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে তিস্তা নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। সব চেয়ে ঝুকিতে পড়েছে লালমনিরহাট জেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর গোকুন্ডার আশ্রয়নের ৩ শত পরিবার।
গতকাল ৫ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর গোকুন্ডা এলাকার নিরব বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীর পাড় ভাঙ্গনের চিত্র। আরাই কিলোমিটার এলাকার মানুষ ভাঙ্গন আহঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাছে। যে কোন মূহুর্তে বিলিন হয়ে যেতে পারে বসতবাড়ী, ফসলি জমি,স্কুল ও মসজিদ।
উল্লেখ্য যে, গত ১ জুলাই চর গোকুন্ডা তিস্তা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ণ বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ সাথে ছিলেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩ শত পরিবার ও একটি মসজিদ রক্ষায় মাত্র ১ শ মিটার নদী ভাঙ্গন এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আর কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গোকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপনকে। কয়েকদিনে মাত্র মাত্র ৯ শত বস্তা জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং করেছেন।
একই এলাকার কৃষক মনসুর,নায়েব ও রোকেয়া বেগম বলেন, শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না। তখন নদীর পার সংস্কার না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড বর্ষা মৌসুমে নদীর পাড় সংস্কার লোক দেখানো ছারা কিছু নয়।
আরাই কিলোমিটার ভাঙ্গন এলাকা ১ শত মিটার কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে লালমনিরহাট পাওবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান নিউজ সোনার বালা ডট কমকে বলেন, এর কয়েক মাস আগে ২শ মিটার কাজের আবেদন করা হয়েছিল।কিন্তু কাজটি পাশ হয় নাই। রংপর বিভাগীয় প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে মন্ত্রীর সাথে কথা বলে ১ শ মিটার কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। আপনি মন্ত্রীকে বলেন।